এবার রাজধানীতে গাড়িচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত

আগের সংবাদ

প্রতিকারহীন মৃত্যুর মিছিল!

পরের সংবাদ

রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব : গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বোমা হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রংপুর ও নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলা শহরের মাঝপাড়ার একটি বাড়ি থেকে জঙ্গি সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তাদের বিষয়ে গতকাল শনিবার বিকালে করা সংবাদ সম্মেলনে গোপন সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে র‌্যাব জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম একটি বাড়িতে আইডিডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরি করছে। তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বোমা তৈরি করছিল। তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন কারাগারে থাকা জেএমবির শীর্ষ নেতাদের কারাগার থেকে আনা-নেয়ার সময় অথবা আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে তাদের মুক্ত করা। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে তারা বোমাগুলো তৈরি করছিল। নগরীর আলমনগর স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ সময় র‌্যাব-১৩ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, হামলার উদ্দেশ্যে তারা বোমা তৈরি করছিল। ইতোমধ্যে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ২০-২৫ জনকে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এর আগে রাত ৩টা থেকে নীলফামারী জেলা সদরের মাঝাপাড়া পুঁটিহারি গ্রামের ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে র?্যাব। স্থানীয় থানা পুলিশের সদস্যরা আশপাশে অবস্থান নেন। গতকাল সকালে রংপুর থেকে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) আইন ও গণমাধ্যম শাখার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং) পরিচালক আল মঈন নীলফামারীতে এসে পৌঁছান। তারপর শুরু হয় অভিযান।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন- জাহেদুল ইসলাম (২৮), অহিদুল ইসলাম (২৬), ওয়াহেদ আলী (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজা (২৬) ও নুরুল আমিন (২৮)। পরে অভিযানে উদ্ধার হওয়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।
জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবি রংপুরের সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম জানান, সে একটি খেলনা তৈরি কারখানার চেকার সুপারভাইজারের চাকরি করে। চাকরির আড়ালে সে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০১৫ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়ার পর সে এখন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান।
এদিকে, আমাদের নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নে জঙ্গি আস্তানায় গতকাল সকালে ওই ইউনিয়নের পুঁটিহারী গ্রামের মাঝাপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। বাড়িটির মালিক জঙ্গি সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ। র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সোনারায় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওহিদুল ইসলাম, ওয়াহেদ আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাহিদুল ইসলাম ও নুরুল আমিনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে, শরিফের এই বাড়িতে বোমা তৈরি করা হয়। এছাড়া ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করার কথাও স্বীকার করেছে তারা।
তিনি আরো জানান, অভিযানের খবর পেয়ে বাড়ির মালিক জঙ্গি শরিফ উদ্দিন আগেই পালিয়ে যায়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী মিনা খাতুন ও শাশুড়ি খোদেজা বেগমকে আটক করে রংপুর র‌্যাব ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়