এবার রাজধানীতে গাড়িচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত

আগের সংবাদ

প্রতিকারহীন মৃত্যুর মিছিল!

পরের সংবাদ

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী : শেখ হাসিনার ‘জাতীয় শপথ’ আয়োজনে যে অঙ্গীকার চাই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর চলছে। এরই মধ্যে বাঙালির জীবনে নতুন তাৎপর্য নিয়ে এলো বিজয়ের মাস- আমাদের বিজয়েরও সুবর্ণজয়ন্তী এবার। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শপথ গ্রহণ করাবেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। খবরটি অভিনব, চমকপ্রদ এবং আশাব্যঞ্জক। এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে ‘জাতীয় শপথ’ আয়োজন বলে বিবেচিত হবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা ও আদর্শ সঞ্চারিত হবে বলেই আমাদের আশা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং বিজয়কে সমুন্নত রাখায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্দীপিত করার প্রেরণা শপথ অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করুক। কেননা, নতুন প্রজন্মসহ আমরাও প্রায়ই ভুলে যাই যে, কী মহান আদর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুুদ্ধে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর মৃদু হলেও প্রকাশ্য আঘাতের আভাস পেয়েছি! মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি পতাকা বহনকারী দর্শকের উল্লাস এবং পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যুদয় নিয়ে তাদের হতাশাবোধ দেখে বিস্মিত হয়েছি! তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভগ্ন-পাকিস্তান নিয়ে এরূপ হতাশার প্রকাশ আমাদের অবাক ও বিষণ্ন করেছে। তরুণদের মনোজগতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও দর্শনের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের ভাবিয়েছে! বাংলাদেশ নিয়ে কেন তাদের মধ্যে এই উন্মুল ভাবনা, কেন তারা বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের খেলায় স্বদেশের সমর্থক না হয়ে পাকিস্তানের সমর্থক হন তাও ভাবনার বিষয়! খেলায় যে কোনো দেশের সমর্থক হওয়ায় আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু পাকিস্তানের পতাকা হাতে উল্লাসের পর তাদের পক্ষ অবলম্বনসহ বাংলাদেশ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য স্পর্ধার বিষয়! বিন্দুমাত্র দেশাত্মবোধ থাকা অবস্থায় কোনো দেশবাসীর কাছেই তা কাম্য হতে পারে না। ঘটনাদৃষ্টে বলতেই হবে যে, নতুন প্রজন্মকে আমরা বাঙালির শাশ্বত আদর্শিক পথে অবিচল রাখতে পারিনি। নতুন প্রজন্ম আদর্শিকভাবে ‘বেহাত’ হয়ে গেছে! তাই বিমর্ষ ও বিচলিত হয়ে ভাবছি জাতিগতভাবেও কি তাহলে আমরা ভবিষ্যৎ-শূন্য হয়ে পড়ছি? সব দেশে সব কালেই তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই রাষ্ট্র বিকশিত ও প্রগতিশীলতার দিকে এগিয়ে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতেও তরুণ প্রজন্মের অবদানই শতভাগ। কিন্তু স্বদেশের এই ভূমিজাত তরুণ প্রজন্মের অনেকের দিকে তাকালে সেই ঐতিহাসিক সত্যটিও যেন মিথ্যা মরীচিকায় পরিণত হয়! আদর্শবিচ্যুত তরুণ প্রজন্ম নিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা কল্পনাও কষ্টকর।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশের ক্ষমতা বলয়ের মধ্যে যারা ছিলেন তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে ধর্মের সূ², রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারটি চতুরভাবে করেছিলেন। সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ এবং ইসলামকে ‘রাষ্ট্র ধর্ম’ করা হয়। একদিকে ধর্মীয় উন্মাদনা এবং অন্যদিকে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের’ নামে যুদ্ধাপরাধী এবং স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এ দেশে ‘রাজনৈতিক’ভাবে পুনর্বাসনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমী হিসেবে গড়ে তোলার বদলে সাংস্কৃতিকভাবেও উন্মুল করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ধূলিসাৎ করে প্রগতিবিরোধী ভাবনায় প্রজন্মের মননের জগৎটাকে কৌশলে আচ্ছন্ন করা হয়। ফলে অন্য ধর্মের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের মনোভাবেও দেখা যায় উদাসীনতা। শুধু উদাসীনতাই নয়, তাচ্ছিল্যও লক্ষ করা যায় ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্যান্য ধর্ম এবং সংশ্লিষ্ট ধর্মের মানুষের প্রতি। অনেক ক্ষেত্রে এই তাচ্ছিল্য প্রায়ই সহিংস রূপও নেয়। ধন-সম্পত্তির বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে সংখ্যালঘু সব সম্প্রদায়ের মানুষই অপমানিত ও অপদস্ত হয়েছে। সংখ্যালঘুরা নিঃস্বও হয়েছে। তারা জমিজমা বাড়িভিটাসহ সহায়-সম্বল হারিয়েছে। গির্জা, মঠ, মন্দির, প্রতিনিয়ত ভাংচুরের শিকার হয়েছে। সংখ্যালঘুর ধর্মীয় আচার পালনও এ দেশে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়। আর কোনো নির্বাচন নিকটবর্তী হলেই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর যে কী পরিমাণ মানসিক নিপীড়ন ও নির্যাতন ‘নাজিল’ হয় তা সবসময়ই পূর্বের রেকর্ড ভঙ্গ করে নজিরবিহীন অবস্থার সৃষ্টি করে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোটের কাছে আওয়ামী লীগ পরাস্ত হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর স্মরণকালের ভয়াবহতম অত্যাচারের দৃশ্য বিশ্ববাসী দেখতে পায়।
সব জনগোষ্ঠীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ওপর মনস্তাত্ত্বিকভাবে খানিকটা বেশি আস্থা ও ভরসা রাখে। কিন্তু মাঝেমধ্যে মাঠ-পর্যায়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নানা ঘটনায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংশ্লিষ্টতাও গণমাধ্যমে ওঠে আসে। ফলে তাদের ওপর থেকে সংখ্যালঘুর আস্থা এবং ভরসার জায়গাটিও দিনদিন সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এই সংকোচনের প্রকট কারণের মধ্যে এটিও লক্ষণীয় যে, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিপীড়ন কিংবা তাদের বাড়িভিটা থেকে উচ্ছেদজনিত কারণে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কর্মীদের কোনো শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ যথাযথ প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উপরন্তু সাম্প্রতিককালের দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লাসহ দেশের নানা প্রান্তে যা ঘটেছে তাতে আওয়ামী লীগের প্রগতিশীল অংশের মধ্যেও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কেবল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ই নয়- সচেতন, প্রগতিশীল, এমনকি মানবিক বোধসম্পন্ন সাধারণ মানুষও মনে করে আওয়ামী লীগ তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত রাখতে যথাযথ করণীয় থেকে দূরবর্তী অবস্থানে চলে গেছে! তাই প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দিরের স্বর্ণালঙ্কার লুটসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করার পর সরকারের পক্ষ থেকে ‘কঠোর শাস্তি’র কথা বলা হলেও কার্যত কোনো ফল কেউ দেখতে পায়নি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বর্ষে কেবল হতবাক হয়ে দেখতে পাই এ দেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন চেতনা ও আদর্শ থেকে আমরা কত দূরে সরে গেছি! কত দূরে সরে গেছি ১৯৭১ সলের মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌল অভিপ্রায়সমূহ থেকেও! জাতিগতভাবে আমরা কোন আদর্শের পেছনে ছুটছি তাও পরিষ্কার নয়। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মের সামনে কোনো চেতনানির্ভর আদর্শ তুলে ধরতে পারিনি। দিনদিন আমাদের জীবনে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, বাড়ছে গড় আয়ু, শিক্ষার হারও বাড়ছে দ্রুত। জীবনমান উন্নয়নের অনেক সূচকে আমরা পাকিস্তান এবং ভারতকেও টপকে গেছি! কিন্তু এই সচ্ছলতা বৃদ্ধির বিপরীতে আমরা সাংস্কৃতিক ও জাতীয় চেতনাগতভাবে অন্তঃসারও শূন্য হয়ে পড়ছি? এই সূচকটির দিকে কে তাকাবে? কে নতুন প্রজন্মের সামনে মহতি আদর্শ নিয়ে দাঁড়াবেন? বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা নিয়ে নতুন প্রজন্মকে কে দিকনির্দেশনা দেবেন? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মননজাত চেতনায় কে ফিরিয়ে আনবে নতুন প্রজন্মের তরুণদের? মহান আদর্শের ছায়াতলে এনে দাঁড় করাবার কেউ নেই বলেই কি আমাদের তরুণরা আজ এমন পথভ্রষ্ট! তারা পরাজিত পাকিস্তানের পতাকায় শোভিত হয়, সব শক্তি নিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে! এও ভাবনায় আসে, এ কি কেবল তরুণদেরই দোষ, তরুণদেরই দায়? রাজনীতি ও রাজনীতিবিদরা কি দায় থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারবেন? এ দেশের তরুণদের এমন বিভ্রান্ত হওয়ার দায় সামগ্রিকভাবে রাজনীতিচর্চার ওপরই বর্তায়।
বাঙালির হাজার বছরের মননের জগতে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবাদর্শ সক্রিয় ছিল। কিন্তু সেই শাশ্বত সৌন্দর্যকে বিনষ্টের মাধ্যমে সামরিক শাসকরা নিজেদের ক্ষমতা অনাদিকাল পর্যন্ত বিস্তৃত করতে চেয়েছে। এই লোভের ফলেই তারা সমগ্র জাতির অন্তর্গত স্বভাবটিকে নষ্ট করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত চতুরভাবে ধর্মীয় কিছু অনুষঙ্গকে ‘আনুষ্ঠানিক’ রূপ দিয়ে এ দেশের মানুষকে সেই শাশ্বত আদর্শ থেকে তারা বিচলিত করেছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাপুষ্ট ধর্মনিরপেক্ষতাকে তারা ধর্মহীনতা বলে প্রচার করেছে। ১৯৭১ সালের পরাজিত ও স্বাধীন দেশে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো এদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রাজনৈতিক অধিকার ফেরত পেয়ে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ে তারাও সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাশালীদের সমর্থন দেয়। ফলে জাতি রক্ষা এবং ধর্ম রক্ষার সুমহান কৃতিত্ব (!) অর্জন করে তৎকালীন সেনাশাসকরা। বন্দুকের নলের ভয়ে ইতিহাসকেও তারা নিজেদের মতো করেই লিখিয়ে নেন। ইতিহাস বিকৃতির চরম নমুনার পাঠও আমরা স্বৈরশাসকদের কাছ থেকেই পেয়েছি। ভুল পাঠের খেসারত দিতে গিয়েই জাতীয় মনোভাব এবং ভাবাদর্শকেও আমরা আমূল পাল্টে ফেলেছি! তাই এ দেশের নতুন প্রজন্ম চিন্তা, চেতনা ও কর্মে আজ আমাদের ঐতিহ্য থেকে বিমুখ হয়েছেন! উত্তরাধিকারের পৈতৃক আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছেন। এ দূর শুধু দূরত্ব অর্থেই নয়, একেবারে দেশান্তর বলাই সঙ্গত! আমরা আমাদের সন্তানদের চিন্তা ও মননের জগতে আমাদের হাজার বছরের শাশ্বত আদর্শের ছায়াপাত ঘটাতে পারিনি। তার বদলে আদর্শ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে পর-রুচি, পর-সংস্কৃতি! যার সমগ্রটাই আবার ধর্মীয় আবরণে আচ্ছন্ন, মোহাচ্ছন্নও।
রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল কিংবা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার ব্যস্ততার ফাঁকে এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের হাতছাড়া, নিয়ন্ত্রণেরও বাইরে চলে গেছেন! স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ষে এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা অন্তত এই প্রতিশ্রæতির সঙ্গে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিই যে, যা হারিয়ে যাওয়ার তা হারিয়েছে- প্রতিটি তরুণকে আমরা দেশজ আদর্শের প্রকৃত বাঙালি এবং প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তোলায় কাজ করব। আমরা সতর্ক হলেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যথাযথ পথে চলবে। কেউ তাদের কোনোভাবেই বিচ্যুত করতে পারবে না। রাজনৈতিকভাবেই এরূপ চেতনায় নতুন প্রজন্মকে দেশজ ভাব, দেশজ আদর্শসহ দেশপ্রেমী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ব্রত নিতে হবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যেককে। স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ষে সামগ্রিক রাজনীতিচর্চার কাছে এই প্রতিশ্রæতি চাই। প্রতিশ্রæতি চাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মর্মমূল স্পর্শ করেই সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র জাতিকে যে শপথ গ্রহণের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তারও প্রেরণা হোক মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মৌলিক চেতনাসমূহ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বর্ণভেদ এবং ধর্মভেদ ভুলে আমরা কায়মনে বাঙালি হওয়ার ব্রত গ্রহণ করি।
আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়