রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ : সংশোধিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হতে পারে জানুয়ারি মাসে

পরের সংবাদ

বিদেশি বিনিয়োগে যত উদ্যোগ : আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতিসহ ৫ বাধা, কর ব্যবস্থা আরো সহজ করার দাবি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ৪১১ বিলিয়ন ডলারের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। হ্রাস পেয়েছে দারিদ্র্য। বেড়েছে মাথাপিছু আয়। বিপুলসংখ্যক পণ্য ও সেবার জন্য বাংলাদেশ এক বিশাল বাজারে পরিণত হয়েছে। এসবই নতুন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এই প্রতিচ্ছবিকে টেকসই করতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে সরকার।
জাতিসংঘের মতে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু সংস্কার করেছে সরকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো বেশ কিছু বাধা দূর করে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। তবে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, অর্থায়নের সীমিত উপকরণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শ্রম আইন কার্যকরে শিথিলতা এবং দুর্নীতির মতো বিষয় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে এখনো বড় বাধা। তাই বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি আরো সহজ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করতে হবে। বিদেশিদের জন্য বরাদ্দ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও নজর দিতে হবে।
জানা গেছে, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ টানতে সরকার বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের দ্রুত অগ্রগতি যেমন- আগামী বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ আরো কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও শেষ হয়েছে। আরো কয়েকটির কাজ শেষের দিকে। ২০২৩ সাল থেকে ভিন্ন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের একটি আবহ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল, সুদ হার অনুকূলে। এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পূর্বানুমতি দরকার পড়ে না, নিটা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই বিনিয়োগ করা যায়। মুনাফাসহ রিটার্ন ফেরতের ক্ষেত্রেও

অনুমতি নিতে হয় না। সুতরাং খুব সহজেই বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূলে ও ব্যবসাবান্ধব সরকার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বিনিয়োগ একটা চলমান প্রক্রিয়া। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছে সরকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ভূমির নামজারি অনলাইনের আওতায় আনার মধ্য দিয়ে অধিকাংশ সেবা যুক্ত করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
বিদেশি বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে দুই জায়গার সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় সমস্যা এনবিআর। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আরো একটি বিষয় হচ্ছে অনলাইন সার্ভিস। আমি মনে করি, সব ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন হওয়া খুুব জরুরি।
এদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে আয়োজিত দুই দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫ বিলিয়ন ডলার বা সাড় ৪২ হাজার কাটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রæতি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশে আসা বিদেশি বিনিয়োগকারী, সহযোগী সংস্থা, কূটনৈতিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, তুলনামূলক কম মজুরি, বিপুল কর্মক্ষম যুবশক্তি, স্থিতিশীল মুদ্রা বিনিময় হারের কারণে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগ আকর্ষণ। তবে কর ব্যবস্থা আরো সহজ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। আয়োজক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বলছে, দেশকে তুলে ধরতেই এবারের সফল বিনিয়োগ সম্মেলনে এসেছে কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ।
জাতিসংঘের মতে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হতে যাচ্ছে এ দেশ। উপযুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার ৯৭টি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, ইলেকট্রনিকস, হালকা প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা আছে। বিদেশিদের সামনে এসব চিত্র তুলে ধরে এ দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বিডা আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলন গত রবিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছি। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে কাজ করছি। বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৮টি দেশে একতরফা শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে। ৩৬টি দেশের সঙ্গে দ্বৈত করারোপ পরিহার চুক্তি বলবৎ আছে।’
তিনি বলেন, অবকাঠামো, পুঁজিবাজার ও আর্থিক সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন, চামড়া, স্বয়ংক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, পাটবস্ত্র এবং সমুদ্র অর্থনীতি- সম্ভাবনাময় এই ১১ খাতকে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য চিহ্নিত করেছে।
দুই দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন সৌদি আরবের পরিবহনমন্ত্রী সালেহ নাসের আল জাসেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর পরিদর্শনও করেছে প্রতিনিধি দলটি। বিডা জানিয়েছে, সৌদি কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশে। তারা ইউরিয়া সার, চিনি ও বেভারেজ শিল্পে এবং বড় আকারের সিমেন্ট কারখানা স্থাপনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া আইয়াজ ও ইউনাইটেড গ্রুপ যৌথভাবে ১৫০ মিলিয়ন ডলার, কর্ণফুলী ড্রাই ডক ১১৮ মিলিয়ন ও বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দুই দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫ বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রæতি পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে আরো কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে। তিনি বলেন, যদিও এবারের সম্মেলনে বিনিয়োগ প্রতিশ্রæতি পাওয়ার চেয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতগুলোকে তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।
সম্মেলনে ইউনিলিভার দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব মেহতা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশে আছে। চট্টগ্রামে একটি মাত্র কারখানা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে স্থানীয় চাহিদা বাড়ার কারণে ঢাকায় দ্বিতীয় কারখানা স্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, বিশাল ভোক্তা থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ খুব আকর্ষণীয় গন্তব্য। কর-কাঠামো সহজ করলে বাংলাদেশ একটি দুর্দান্ত বিনিয়োগ গন্তব্য হতে পারে। বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এখন পণ্য বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গিয়েছি। আমার মনে হয়েছে, শিল্পাঞ্চলগুলোতে পোশাক খাতে প্রায় ১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য গেমচেঞ্জার হবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। বিনিয়োগকারীদের যে কোনো সমস্যা দ্রুততম সময়ে সমাধানেও সরকার বদ্ধপরিকর। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনে (আইএফসি) বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার নুজহাত আনোয়ার বলেন, এই পর্যায়ে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটি উন্নয়ন মডেলে পরিণত হয়েছে। এখন পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছার জন্য দেশের নতুন অর্থায়ন কৌশল থেকে শুরু করে নীতি সংশোধন পর্যন্ত একটি কৌশল প্রয়োজন। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবকাঠামোর জন্য ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৬০৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এই অর্থায়নের ৭৫ শতাংশ আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে।
বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়ান স্টপ সেবা : বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) পৃথকভাবে সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের অংশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেবা দিচ্ছে বিডা। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। দিন-রাত যে কোনো সময় অনলাইনে আবেদন করছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যবসার ধরন অনুযায়ী, উদ্যোক্তার কী কী সেবা দরকার তা চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সংস্থায়। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই সংস্থাকে ওই সেবা দিতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিডার।
জানতে চাইলে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ সহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ সেবা অনলাইনে নিয়ে আসতে পেরেছি। চলতি বছরের মধ্যেই ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৫০টি সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বিডা কাজ করছে।
তিনি বলেন, ওএসএস চালুর পর থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ২৫ হাজার সেবা অনলাইনের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের বিনিয়োগকারীদের দ্রুত এবং সহজে ঝামেলাহীনভাবে আমরা নিয়মিত ওএসএস মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি যাতে বিনিয়োগকারী সহজেই সব ধরনের সেবা পেতে পারেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মাদ রহমাতুল মুনিম বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে। রাজস্ব আহরণ গতিশীল রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রণোদনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়