রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ : সংশোধিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হতে পারে জানুয়ারি মাসে

পরের সংবাদ

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ > আরো সংস্কার প্রয়োজন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে বের হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। চলে যাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য হবে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করা। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে নিরাপদবোধ করবেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আনার উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল বুধবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এজন্য অবকাঠামোর উন্নয়ন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন, দুর্নীতি রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দূর করে সার্বিকভাবে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে সেটা প্রশংসনীয়। ১০০টি ইকোনমিক জোন দ্রুত সম্পন্ন করতে পারলে তার সুফল আমরা পাব। তবে এখনো আমাদের দেশে সাম্প্রতিককালে বিডার আয়োজনে বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যে আশ্বাস দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। তবে আরো কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যে কোনো দেশে বিদেশি বিনিয়োগ তখনই আসে, যখন তারা দেখতে পায় দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছেন। জিডিপির আনুপাতিক হারে আমাদের দেশে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ গত অর্থবছরে বেশ কিছুটা কমে গেছে। এটা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। সুতরাং প্রথমে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে হবে।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমাদের যেসব অবকাঠামো দুর্বলতা আছে, যেমন- ট্রান্সপোর্ট, পোর্ট ফ্যাসিলিটি ইত্যাদি; সেগুলো দূরীকরণের চেষ্টা করতে হবে। তৃতীয়ত, বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধি যারা, তারা প্রায়ই বলে থাকেন আমাদের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস ইন্ডিকেটর এখনো অনেক শোচনীয়। যদিও ইদানীংকালে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ১৭৭ থেকে আমরা ১৬৯তে আছি। বিশ্বব্যাংকের যে গভর্নেন্স ইন্ডিকেটর রয়েছে, সেখানেও আমাদের অবস্থান লোয়েস্ট ২৫-৩০ শতাংশের মধ্যে। এ অবস্থানেরও উন্নতি প্রয়োজন।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা খরচ ও পরিবেশের যে সূচক রয়েছে, তাতে আরো উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। যাতে দ্রুত ব্যবসা শুরু করা যায়। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ এলে একদিকে শিল্প স্থাপন হবে। উৎপাদন বাড়বে। এতে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর কর্মসংস্থান বাড়লে দারিদ্র্যও পর্যায়ক্রমে কমবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়