রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ : সংশোধিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হতে পারে জানুয়ারি মাসে

পরের সংবাদ

ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) : বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব না

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার কথা বলছেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি হারুন আল রশিদ বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দল ও সরঞ্জাম প্রয়োজন। সেজন্য চিকিৎসক এনে তার চিকিৎসা করা সম্ভব না। তারা বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করার কথা কালক্ষেপণ ও সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করার জন্য বলছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উপস্থাপন, বিদেশে সুচিকিৎসা ও স্থায়ী মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড্যাবের মহাসচিব মো. আবদুস সালাম। লিখিত বক্তব্যে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার মৌলিক সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
হারুন আল রশিদ বলেন, খালেদা জিয়ার যে অসুস্থতা, তার কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এটা এমন একপর্যায়ে আছে, এখানে কালক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। তার চিকিৎসা পুরোটাই একটা টিমওয়ার্ক। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির সব জায়গায় এই চিকিৎসা হয় না, দুয়েকটা সেন্টারে হয়। এটা টোটাল একটা টিমওয়ার্ক। যদি চিকিৎসক আনা হয়, তিনি বলবেন, আমি তো একা পারব না।
তিনি বলেন, ওই টিমে যে নার্স, ওয়ার্ডবয়, যন্ত্রপাতি প্রত্যেকেই ইকুইপড (প্রশিক্ষিত)। একজনের ভুলে পুরোটা পণ্ড হয়ে যেতে পারে। সেজন্য যারা বলছে, বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানোর যেতে পারে, এটা

কালক্ষেপণ এবং সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করা। সরকার যেহেতু বিদেশে যেতে দিতে চাইছে না, সেজন্য তাকে ব্যাকআপ দেয়া।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)। এ বিষয়ে ড্যাব সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়ার নিয়োজিত চিকিৎসক প্যানেলের সদস্যরা দেশের প্রথিতযশা যত চিকিৎসক আছেন, তাদের মধ্যে স্বনামধন্য। তারা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, তার বাংলাদেশে চিকিৎসা এ মুহূর্তে সম্ভব নয়। এমনকি উপমহাদেশেও সম্ভব নয়। এর বিপক্ষে সরকারের অবস্থান যা, ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে বিএমএ। তারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস হয়েছে। লিভার সিরোসিস তো দূরের কথা, বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট পর্যন্ত হয় না। আজ পর্যন্ত দুটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে, তার মধ্যে একজন মারা গেছে, আরেকজন আরেকজনের অবস্থা ভালো নয়। সুতরাং লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা বাংলাদেশে হয়, এটা ভুল তথ্য।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার তথ্য তুলে ধরে হারুন আল রশিদ বলেন, যে সর্বশেষ খবর জেনেছি, তার হিমোগেøাবিনের লেভেল কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলোর রেজাল্ট এখনো আসেনি। তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গত পরশু রাতে তার আবারো রক্তক্ষরণ হয়েছে। সে কারণেই হয়তো হিমোগেøাবিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়