রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ : সংশোধিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হতে পারে জানুয়ারি মাসে

পরের সংবাদ

ওমিক্রনের লক্ষণ মৃদু, উদ্বেগ বেশি : সংক্রমিত দেশ থেকে না ফেরার আহ্বান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রায় দুই বছর হতে চলেছে। তবে এখনো এই ভাইরাসের অনেক বিষয়ই অজানা রয়ে গেছে বিজ্ঞানীদের। ভাইরাসটির নতুন নতুন ধরন, নতুন উপসর্গ ভাবিয়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে ভাইরাসটির সর্বশেষ ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ডেল্টাসহ করোনার আগের ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন কতটা মারাত্মক, তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে চলছে গবেষণা।
গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের চেনা উপসর্গের চেয়ে ওমিক্রনের লক্ষণগুলো ভিন্ন। তাই এ নিয়ে উদ্বেগও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেল্টাসহ করোনার অন্যান্য ধরনগুলোর ক্ষেত্রে জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়াসহ যে লক্ষণগুলো ছিল সেগুলো এখন অনেকের কাছেই পরিচিত। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অনেকে করোনা পরীক্ষাও করিয়েছেন। কিন্তু এ লক্ষণগুলোর সঙ্গে ওমিক্রনের লক্ষণের কোনো মিল নেই। ফলে কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা না গেলেও নতুন এই ধরনের আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যাদের শরীরে নতুন এই ধরনটি শনাক্ত হয়েছে, তাদের স্বাদ বা গন্ধ চলে যায়নি। হালকা কাশি হতে পারে। বিশেষ কোনো উপসর্গও দেখা যায়নি। ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু। জ্বর জ্বর অনুভূতি, শুকনো কাশি, রাতে ঘাম ও গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি বমি ভাব, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ রয়েছে।
এদিকে গতকাল বুধবার মহাখালীতে বিপিএস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যারা বিদেশে থাকেন, বিশেষ করে যারা আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে রয়েছেন, আমি তাদের আহ্বান করব, তারা যেন তাদের স্ব-স্ব স্থানে অবস্থান করেন। দেশের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য যে যেখানে কর্মরত আছেন সেখানে থাকার আহ্বান করছি।
মন্ত্রী জানান, যেসব যাত্রী আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দেশে আসবে তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। দেশে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে করা করোনার পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া কেউ এলে তাদেরও ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামও যেসব দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আপাতত দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রবাসী ভাইবোনেরা যারা এ সময় দেশে আসতে চান, যারা দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইউরোপে আছেন, বিশেষ করে যেসব দেশে ওমিক্রন বেশি সংখ্যায় শনাক্ত হচ্ছে তাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, আপনারা ভ্রমণ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা একেবারে বন্ধ রাখুন। এই কাজটি করলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমাদের সারাদেশে করোনা রোধে যে সর্বোচ্চ চেষ্টাটি আছে, সেটি বেগবান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের চিহ্নিত করছি। যাদের পরীক্ষার দরকার তাদের পরীক্ষা করছি। সামগ্রিকভাবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
তিনি বলেন, ওমিক্রন সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আমরা নতুন তথ্যউপাত্ত পাচ্ছি। এদিকে আমাদের গভীর মনোযোগ আছে এবং সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব প্রাক-প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে ভ্রমণ সংক্রমণের ঝুঁঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে আমাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। বন্দরগুলোতে আমরা সতর্কতা দিয়েছি। কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। সেটি আর শিথিল নেই। কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ আমরা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়