রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ : সংশোধিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হতে পারে জানুয়ারি মাসে

পরের সংবাদ

ওমিক্রনের বিষয়ে বেনাপোল বন্দরে সতর্কতা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

যশোর প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিষয়ে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দরে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে স্পট করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে ভারতের পেট্রপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ স্পট করোনা পরীক্ষা করায় দুর্ভোগে পড়েন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত করা বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা।
জানা যায়, বুধবার সকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বাংলাদেশি ৫০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রীর স্পট করোনা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কারো শরীরে করোনার উপস্থিতি না থাকলে আর কারো স্পট করোনার পরীক্ষা করা হবে না। তবে কেউ পজেটিভ হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া প্রত্যেক যাত্রীকে পরীক্ষা করা হবে।
ভারতফেরত বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী গোপাল চন্দ্র বলেন, আমি এক সপ্তাহ আগে ভারতে যাই। আজ দেশে ফেরার সময় দেখতে পেলাম, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রীকে করোনা পরীক্ষার জন্য বসিয়ে রাখা হয়েছে। এতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, গত সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরো ১১টি দেশ বা অঞ্চল। ওই সব দেশ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ রাজু আহমেদ বলেন, ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব যাত্রী মাক্সবিহীন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের মধ্যে ফ্রি মাক্স সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে ইমিগ্রেশনের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ই বলেন, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ট্রাকচালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারেন সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন বহির্গমন গেটে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়