রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ : সংশোধিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাস হতে পারে জানুয়ারি মাসে

পরের সংবাদ

আসছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন : সতর্ক হোন আজই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শতাব্দীর সব থেকে ভয়ংকর মহামারির নাম ‘করোনা’। যা প্রায় ২ বছর ধরে উত্তাল করে তুলেছে পৃথিবীকে, প্রতিনিয়ত কেড়ে নিয়েছে মানবজীবন। যার প্রকটে থেমে গিয়েছে পৃথিবীর গতি, আবদ্ধ হয়েছে বিশ্ববাসী। ১০০ বছরে এই প্রথমবারের মতো মানবজাতি সাক্ষী হয়েছে এমন রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যুর, যার সংখ্যা ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ৭,৭১,৯১৯ জন, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের ৪,৬৮,৭৯০ জন এবং বাংলাদেশে যার সংখ্যা ২৭,৯৮১ জন (তথ্য সংগ্রহ-ডঐঙ)। এই মৃত্যুযজ্ঞ থামাতে বিশ্ববাসী নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিষেধক না থাকায় ২০২০ থেকে দেশে দেশে শুরু হয় লকডাউন। বিজ্ঞানীরা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু পরামর্শ দেন। যেমন- নির্দিষ্ট দূরত্ব অবলম্বন করা, মাস্ক ব্যবহার করা, অকারণে ঘর থেকে বের না হওয়া। এছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের ওপর নানারকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। যার ফলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বেপরোয়া এই মরণব্যাধি। ২০২১ সালে করোনার প্রকটতা হ্রাস পাওয়ায় খুলে দেয়া হয় লকডাউন, তুলে নেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি টিকা আবিষ্কার হওয়ায় প্রতিটা দেশে শুরু হয় টিকা প্রদান, যার ফলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
পৃথিবী যখন দীর্ঘ আঁধারের পর এক টুকরো সূর্যের দেখা পেল ঠিক তখনই দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ইসরায়েলসহ ১১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভ্যারিয়েন্টটি। যেটি তার পূর্বসূরি ডেল্টার থেকেও ৮-১০ গুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। বিশ্লেষকদের মতে, এটি পূর্ববর্তী যে কোনো ভ্যারিয়েন্ট থেকে বেশি বিপজ্জনক। ইতোপূর্বে নেয়া করোনার টিকা ওমিক্রন প্রতিরোধে কাজ করবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে অনেকেই, যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের কারণ। শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই করোনার শক্তি বেড়ে যায়, তার ওপর আবার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। তাই ওমিক্রন নামক এই ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে এখনই সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যকীয়। আক্রান্ত দেশগুলো ছাড়াও সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধসহ বহিঃদেশে অবাধ যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এছাড়াও বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য তৎপরতা বাড়ানো এবং কোরারেন্টাইনের কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে জনগণকে টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং টিকা গ্রহণকারীসহ সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, বাইরে থেকে ফিরে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, অযথা সংঘবদ্ধ না হওয়ায় ভালো, উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়াও আগের মতো টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্রে বিভিন্ন সতেচনতামূলক বিজ্ঞাপন দিতে হবে, সেইসঙ্গে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।

হুমায়ুন কবীর রুস্তম : গ্রীন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়