মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

রঙিন হলো না তুষার ইমরানের বিদায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্রিকেটে তুষার ইমরান এক দুর্ভাগ্যের নাম। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো পারফর্ম করছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতি ম্যাচেই রানের দেখা পেয়েছেন এ ক্রিকেটার। ২০০১-এ ওয়ানডে ও ২০০২-এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টর মাধ্যমে জাতীয় দলে অভিষেক তুষারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তুষার খেলেছেন পাঁচটি টেস্ট। পাঁচ টেস্টে তার সংগ্রহ মাত্র ৮৯ রান। এছাড়াও ৪১ ওয়ানডেতে করেছিলেন মোট ৫৭৪ রান। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও আছে তার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮২ ম্যাচে ১১ হাজার ৯৭২ রান করেছেন তিনি। করেছেন ৩২ সেঞ্চুরি ও ৬৩ হাফসেঞ্চুরি। সর্বশেষ ২০০৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তুষার ইমরান। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো পারফর্ম করছেন তুষার ইমরান। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তার। মৌসুমের পর মৌসুম রানের বন্যা বইয়ে দিয়েও জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই অবশেষে ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তিনি।
১২ হাজার রানের নিকটে ছিলেন তুষার। দরকার ছিল মাত্র ২৮টি রান। এ রানে ১২ হাজারের মাইলফলক পূর্ণ করতে পারতেন তিনি। এর আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ইনজুরির কারণে ভালোভাব খেলতে পারেননি তুষার। ১২ হাজার রান হলে ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক আগেই। সঙ্গে বলেছিলেন রান করতে ব্যর্থ হলে নিজ থেকেই সরে দাঁড়াবেন তিনি।
যেমন কথা তেমন কাজ। চলমান জাতীয় লিগের তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, ৩ ম্যাচে ৫টি ইনিংস মাত্র ৭৮ রান করেন তিনি। তার নিজের খেলার এই খারাপ পারফরমেন্স দেখে ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তুষার বলেন, যতদিন ক্রিকেট খেলেছি, রান করেই খেলেছি। এখন ইনজুরিতে আছি, এজন্য আর হচ্ছে না। তিন ম্যাচে ৫টি ইনিংসে মাত্র ৭৮ রান করতে পারিনি, আমার মনে হয়েছে এখন সময় হয়ে এসেছে চলে যাওয়ার। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্মানের সঙ্গে যেতে পেরে আমি খুশি।
চলমান জাতীয় লিগে আছে তার সেঞ্চুরি। সেই শতকের পর অভিমানী কণ্ঠে বলেছিলেন, এখন আর জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছে কাজ করে না। আমি গত কয়েক মৌসুম অনেক রান করেছি তাতেও ডাক পাইনি টেস্ট দলে। এভাবে খেলে কী লাভ। এর চেয়ে সম্মান থাকতে থাকতে চলে যাওয়াই ভালো মনে করি আমি। এই মৌসুমে হাজার রান করলেও লাভ নেই। খেলে আর কী করব। হয়তো কিছু টাকা পাব কিন্তু টাকার চেয়ে সম্মান বড়।
তিনি আরো বলেন, ২০০০ সালে শুরু করেছি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। ২০০১ সালের এ দলের হয়ে ভারত সফরে গিয়েছিলাম। পুনেতে মহারাষ্ট্রের হয়ে ম্যাচে আমাকে বলা হলো ওপেন করতে। মহরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই তিন দিনের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলাম। ওই ইনিংসটিতে ভালো পারফরমেন্সের কারণে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয় আমার। এছাড়া দেশের ২৩ জাতীয় লিগের ২২টিতেই খেলেছি সেটাও অনেক বড় অর্জন।
গত রবিবার বাংলাদেশ ক্রিড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শ্রেণির সব ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তুষার ইমরান। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুষার শনিবার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন অবসরের তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশের লিস্ট-এ দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
বিদায়ের পর সংবাদমাধ্যমকে তুষার জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বললাম। তবে লিস্ট-এ ক্রিকেট চালিয়ে যাব। ইচ্ছে আছে বিসিবির সঙ্গে কাজ করার। এখনো কোনো প্রস্তাব পাইনি। বিসিবি যদি মনে করে আমি যোগ্য, যেহেতু আমার লম্বা ক্রিকেট ক্যারিয়ার, আমি প্রস্তুত আছি। ইচ্ছে আছে কোচিং পেশাতেও যাওয়ার। জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব পেলে কাজ করতে চাই।’
:: মো. ইমরান হোসেন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়