মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানি : মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমার হস্তক্ষেপ চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারতের থেকে আবার চুনাপাথর আমদানি শুরু করতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ। এজন্য গত শুক্রবার ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমার সঙ্গে দেখা করেছেন। খবর দি নর্থইস্ট টুড।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে চুনাপাথর রপ্তানি বন্ধ ছিল। মেঘালয় থেকে আসা ওই চুনাপাথ সুনামগঞ্জের ছাতক সিমেন্ট কারখানায় পাঠানো হয় এবং ওই চুনাপাথরের মাধ্যমে সিমেন্ট উৎপাদন হয়।
ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর জানান, কোমোরাহ লাইমস্টোন মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (কেএলএমসি) গত বছর থেকে হঠাৎ করে বাংলাদেশে চুনাপাথর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ছাতকের ওই সিমেন্ট কোম্পানিকে চুনাপাথর রপ্তানির অনুমোদন ত্বরান্বিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
পরে এক টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী কনরেড কে সাংমা বলেন, সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ

তানভীর মনসুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সদস্যরা শুক্রবার আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্যের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মনসুর জানান, কোমোরাহ লাইমস্টোন মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (কেএলএমসি) গত বছর থেকে হঠাৎ করে বাংলাদেশে চুনাপাথর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আমরা বুঝতে পেরেছি যে, শিগগিরই আমরা আমাদের ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের জন্য মেঘালয় থেকে চুনাপাথর রপ্তানির ছাড়পত্র পাব। তিনি আরো জানান, চুনাপাথর রপ্তানি করার আগে তাদের সংশ্লিষ্ট গ্রাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইজারা চুক্তি নবায়ন করতে হবে এবং এর জন্য তাদের বন ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। গ্রামের সঙ্গে চুক্তিটি পুনর্বিকরণ করতে হবে। কারণ, তারা যে জমিতে খনন করবে তার পুনর্ম্যাপ করেছে। এটাই সমস্যা। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, রপ্তানির জন্য বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করা হবে। আমরা আশা করি, সিমেন্ট কারখানাও শিগগিরই সিমেন্ট উৎপাদন শুরু করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়