মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেয়ায় হামলা, লুটপাট

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি : চরফ্যাশনের ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১১ জন। চরফ্যাশনের ৭ ইউনিয়নে রবিবারের নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়া ও সমর্থন করায় গতকাল সকাল ১০টায় ৫নং ওয়ার্ড কেন্দ্রসংলগ্ন বসতবাড়িতে হামলা এবং রসুলপুরের ৪নং ওয়ার্ড এ কে সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র মাঠে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহতরা হলেন- ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছকিনা খাতুন (৭০), রুনা বেগম (৫০), আবু তাহের (৪০), নাহার (৩৭), বিবি তাহেরা (৩২), প্রেমা (১২) ও সাকিব (৭), রসুলপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল খাঁ (৫০), সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ বেপারি (৫২), আলাউদ্দিন খাঁ (৪৫) ও রাসেল বেপারি (২২)। ভুক্তভোগী নাহার অভিযোগ করে বলেন, ওসমানগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারসের পক্ষে ভোট না দিয়ে নৌকা প্রার্থীকে ভোট দেয়ায় আনারস প্রতীকের সমর্থকদের নির্দেশে স্থানীয় সন্ত্রাসী রমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে টুটুল, মনিরসহ ৫০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও বাড়িঘরে ইটপাটকেল মেরে হামলা করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। অপরদিকে বাবুল খাঁ অভিযোগ করে বলেন, রসুলপুর ৪নং ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের পক্ষে উল্লাস করায় প্রতিপক্ষ তালা প্রতীকের প্রার্থী শাহে আলমের নেতৃত্বে আমাদের দেশীয় অস্ত্র দা, ছেনি দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে জখম করে।
নির্বাচনী এলাকাগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে চরফ্যাশন ও শশীভূষণ থানা সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত রমিজ উদ্দিন ও শাহে আলম অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাশেম মোল্লা ৭ হাজার ৩৯০ ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আশ্রাফুল আলম ফোটন ৩ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। কুঁকড়িমুকড়ি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসেম মহাজন ৪ হাজার ১৮৪ ও স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রার্থী কবির হোসেন ৭৪৬ ভোট পান। বাকি ৫টি ইউনিয়নে প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় নৌকার ৫ প্রার্থীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে রসুলপুরের ৪নং ওয়ার্ডে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী সমান সমান ভোট পাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে আইন অনুযায়ী পুনরায় নির্বাচন হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়