মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

দুঃসময়ে রোনালদো

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একবিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারদের তালিকা করা হলে সেখানে অনায়াসে জায়গা করে নেবেন পর্তুগিজ সুপার স্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে সাম্প্রতিক সময়টা তার ভালো যাচ্ছে না। না জাতীয় দলে, না ক্লাব ফুটবলে; সব জায়গায় শুধু ব্যর্থতার গল্প লিখে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের এতটা বাজে সময় কখনো কাটেনি রোনালদোর। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপ অঞ্চল থেকে তার দেশ পর্তুগাল পায়নি কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। প্লে অফের সুযোগ যদিও আছে, তবে ২২তম বিশ্বকাপ যাত্রা নিশ্চিত নয়। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে রোনালদোকে দেখা যাবে না এটা মানতে পারছেন না সারা পৃথিবীব্যাপী তার সমর্থকরা। একই অবস্থা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে একের পর এক হারের মুখ দেখে যাচ্ছেন তিনি। অবস্থাদৃষ্টে বলা যায়, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কি বিদায় নেয়া উচিত?
বয়সটা ৩৬। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাড়ি দিবে ৩৭ বছর বয়সে। মাঠের পারফরম্যান্সেও পড়েচে পর্তুগিজ তারকার বয়সের চাপ। পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার কাটাচ্ছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়। সেই ব্যর্থতার ভিড়ে তার হতাশার অন্যতম কারণ হয়ে থাকবে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত না করা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপ অঞ্চলের ‘এ’ গ্রুপে তারা যে খুব কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করেছেন এমনও না। বলা যায় ‘এ’ গ্রুপের পাঁচটি দলের মধ্য শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালই। অথচ তাদের টপকে ‘এ’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাছাইপর্ব থেকে কাতার বিশ্বকাপে যাত্রা করে সার্বিয়া। অবশ্য শেষ ম্যাচে তাদের বিপক্ষে রোনালদোরা ড্র করলেও পেয়ে যেত কাতারের টিকেট। ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে তারা এখন প্লে অফের গ্যাড়াকলে। সেখানে কঠিন বাধা উত্তরাই পার করে তাদের যেতে হবে বিশ্বকাপে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের ২২তম আসরটি সম্ভবত রোনালদোর জন্য শেষ বিশ্বকাপ আসরে অংশগ্রহণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু বিদায়টা যদি বিশ্বকাপে না খেলেই নিতে হয়, সেটা একজন বিশ্বমানের ফুটবলারের জন্য অসম্মানের। এদিকে শুধু জাতীয় দল নয়, ক্লাব ফুটবলেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। নিজ দেশের বাইরে তিনি প্রথম ২০০৩-০৪ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতান। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে ২০০৯-১০ মৌসুমে যোগ দেন স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস রোনালদোকে ২০১৮ সালে রেকর্ড দামে দলে ভেড়ান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার জন্য। সেখানে তিন মৌসুমে রোনালদো দুটি সিরি’আ শিরোপা জিতলেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকেন অনুজ্জ্বল। অনেক টাকা বেতনে তাকে শুধু ক্লাব রাখতে চায়না, এমনটা আচ করে তিনি আগেই ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার বার্তা দেন। অন্যদিকে কঠিন পরিস্থিতিতে যাচ্ছিল তার সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে না আগের সেই উদ্দম। বয়সের চাপ যেন তার পারফরম্যান্সেও পড়েছে। প্রিমিয়ার লিগে গত সাত ম্যাচের মধ্য তার দল হেরেছে পাঁচ ম্যাচে। ১২ ম্যাচে ৫ জয় ও ২ ড্রয়ে তার দলের পয়েন্ট সংখ্যা ১৭। তালিকায় এখন তারা আছেন সাতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়