মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম টেস্ট : নিষ্ফল বোলিংয়ে বিবর্ণ টাইগাররা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুজ্জামান ইমন, চট্টগ্রাম থেকে : সাগরিকায় গতকাল টাইগার বোলাররা বিবর্ণ বোলিং করে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরাতে পারেনি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রবিবার পূর্বের সূর্য যখন পশ্চিমে অস্তমিত হয়েছে তখন হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছেন পাকিস্তানের আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। সাদা-পোশাকে এখনো পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আজ পঞ্চম দিনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পূর্ণ পয়েন্ট পেতে বাবর আজমদের করতে হবে ৯৩ রান। সকালের স্যাঁতস্যাঁতে উইকেটে বোলাররা সবসময় ফায়দা লুটে থাকে। নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় থাকা টাইগার বোলাররা আজ প্রথম সেশনের শুরুতেই পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দ্রুত কয়েকটি উইকেট ফেলে দিলে ম্যাচে লাগাম টাইগারদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের দুই ওপেনার দিন শেষে ১৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও পরের দিন সকালে টাইগার বোলারদের দাপটের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আগের দিন ১৪৯ রান করা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল। প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা বেশ কষ্টের হয়। কারণ চতুর্থ দিনে পিচে ফাটল ধরলে বল বেশ টার্ন করে। প্রথম ইনিংসে ১১৬ রানে পাকিস্তানের ৭ উইকেট তুলে নেয়া তাইজুল ইসলাম আজ যদি তার স্বাভাবিক বোলিং করতে পারেন তাহলে ম্যাচে মিরাকল কিছু ঘটতে পারে। টাইগার সমর্থকরা এমনটিই প্রত্যাশা করছেন।
গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫৭ রানে। মাত্র ৪ রানে পড়েছে শেষের ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসের ৪৪ লিডসহ পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রানের। দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৯ রান।
বাংলাদেশের দেয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও স্বাগতিক বোলারদের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। মাত্র ৩৩ ওভারেই সংগ্রহ করেছে ১০৯ রান।
প্রথম ইনিংসে এ জুটির সংগ্রহ ছিল ১৪৬ রান। অভিষিক্ত শফিক আউট হন ৫২ রান করে। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান পেরিয়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন তারা। এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন আবিদ-শফিক দুজনই।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলি দিনের খেলা শেষে অপরাজিত রয়েছেন ১০৫ বলে ৫৬ রান করে। অন্যদিকে ৯৫ বল থেকে ৫৩ রান করেছেন আরেক ওপেনার শফিক। এ দুজনের জুটিতে সহজ জয়ের পথেই রয়েছে পাকিস্তান।
টেস্ট ছন্দের খেলা, অধ্যবসায়ের খেলা। ধৈর্য্য নিয়ে সাফল্য পেতে হয়। স্নায়ু স্থির রেখে এগোতে হয়। অথচ বাংলাদেশ এ ফরম্যাটে এগোচ্ছে একেবারেই বিপরীতেভাবে। তাতে ধারাবাহিকভাবেই ব্যর্থ পুরো দল।
নতুন কিংবা পুরনো যারাই দলে আসছে। ব্যর্থতার খোলস থেকে বের হতে পারছেন না কেউ। গতকাল সাত সকালে দিনের প্রথম বলে মুশফিক হাসান আলিকে যেভাবে চার মেরেছেন তাতে মনে হচ্ছিল বড় কিছুই পেতে যাচ্ছে টাইগাররা। কিন্তু এক বল পরই সব উল্টো। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসেও লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৯ বলে ৫৯ রান।
বাংলাদেশ রুখে রাখতে বড় ভূমিকা ছিলেন শনিবার বিকালে গতি ঝড় তোলা শাহীন আফ্রিদির। লিটনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেই লেজ ছেঁটে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই পেসার। তার কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৫৭ রানে। ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। তিনটি নেন অফস্পিনার সাজিদ, দুটি নেন হাসান আলী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়