মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে গতকাল কমলাপুরে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। তবে জয় পেতে বেশ বেগ হতে হয়েছিল আকাশি-নীলদের। তাদের বিপক্ষে বারবার প্রতি আক্রমণে যাওয়া স্বাধীনতা সবকটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফলাফল হয়তো ভিন্ন হতে পারত।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল দিনের একমাত্র ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। তবে ম্যাচটিতে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড ঢাকা। এর আগে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে দাপট দেখিয়েছে জায়ান্ট আবাহনী। বল দখলে পিছিয়ে ছিল না স্বাধীনতাও। দুই দলের বল দখলের লড়াইয়ে অবশ্য সফলতার পথ প্রথমে খুঁজে পায় আবাহনী। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে দলকে কাক্সিক্ষত সাফল্য এনে দেন আকাশি-নীলদের ফরোয়ার্ড মেহেদী। কর্নার থেকে আসা বল প্রথমে প্রতিহত করেন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। তাদের হেড করা বল ফের হেড দিয়ে জালে জড়ান আবাহনীর এই ফুটবলার। লিড নিয়ে আক্রমণে ধার বাড়াতে থাকেন আবাহনী। পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফেরার চেষ্টা অব্যাহত রাখে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের খেলোয়াড়রা। তবে বিরতির আগে সমতায় ফেরার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে ক্লাবটির। ব্যবধান বাড়াতে পারেননি আকাশি-নীলরাও। শেষ পর্র্যন্ত ১-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
বিরতির পর আবাহনীর তুলনায় দুর্দান্ত খেলতে থাকে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের ফুটবলাররা। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করেন তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার কারণে তাদের আর গোল করা হয়ে উঠেনি। এর মধ্যে আক্রমণে ধার বাড়াতে থাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিও। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবাহনীর অধিনায়ক। রাফায়েল আগুস্তো মাঝ মাঠে বল পেয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান প্রতিপক্ষের উদ্দেশে। ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ফলাফল তখনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে আশা ছাড়েননি স্বাধীনতা সংঘের ফুটবলাররা। তবে আবাহনীর রক্ষণভাগ সামলে তাদের জালে বল জড়ানো হচ্ছিল না। শক্তিশালী আবাহনী ম্যাচ জয়ের চিন্তায় বিভোর থেকে কিছুটা পিছু হটেন। কারণ ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও তারা এগিয়ে ২-০ গোলের ব্যবধান। ঠিক তখনই সুযোগ লুফে নিল স্বাধীনতা সংঘের ফুটবলাররা। ম্যাচের অতিরিক্ত এক মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল প্রতিহত করার চেষ্টা করেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। তবে ডি বক্সের বলটি পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি তারা। এক, দুই, তিন ডিফেন্ডার পেরিয়ে বল আসে স্বাধীনতা সংঘের নর্দির কাছে। বাইসাইকেল স্টাইলে দুর্দান্ত এক গোল করেন তিনি। তার গোলে ম্যাচের ফেরার স্বপ্ন দেখছিল স্বাধীনতা সংঘ। ম্যাচে তখনো যোগ করা সময়ের দুই মিনিট বাকি। তাই স্বপ্ন দেখতেই পারে ক্লাবটি। তবে এর মধ্য নড়ে চড়ে বসেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। স্বাধীনতা সংঘ বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেলেও প্রতিবারই তাদের প্রতিহত করেন আকাশি-নীলের ডিফেন্ডাররা। এ জয়ের ফলে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এক পা এগিয়ে গেল দলটি। ‘এ’ গ্রুপে আবাহনী লিমিটেড ঢাকা ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের সঙ্গে অন্য দলটি রহমতগঞ্জ। টুর্নামেন্টটির বাকি তিন গ্রুপেই খেলছে চারটি করে দল। শুধু এই গ্রুপে তিনটি দল। ১৬ দল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার কথা থাকলে ১৫ দল অংশ নেয়ায় এমন গ্রুপ বিভাজন।
স্বাধীনতা কাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচ শেষ হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। এরপর ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শেষ আটের লড়াই। চার গ্রুপ থেকে পয়েন্ট তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচ। আর ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ১১তম আসর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়