মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

আজ হাটহাজারীতে দাফন : হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইসলাম মারা গেছেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী মারা গেছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল বাদ এশা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার বায়তুন নূর জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে আজ তাকে দাফন করার কথা রয়েছে। এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাত ১টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
হেফাজতে ইসলাম ও প্রয়াতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও আরেক আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।
গতকাল সন্ধ্যায় হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা সালাউদ্দিন নানুপুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার মরদেহ চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হবে। তবে চট্টগ্রামে নুরুল ইসলাম জিহাদীর জানাজার হবে না। তাকে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হবে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর পটিয়ার কৈয়গ্রাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। ওই মাদ্রাসায় এক বছর শিক্ষকতার পর বাবুনগর মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন। এরপর বাবুনগর মাদ্রাসায় কয়েক বছর অধ্যাপনার পর ঢাকার আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এ সময়ে তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি নিজ বাড়ি চট্টগ্রামে চলে যান ও পুনরায় বাবুনগর মাদ্রাসায় যোগদান করেন।
১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই তিনি ঢাকার খিলগাঁও-এ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর মজলিসে শূরা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও আমেলার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ইসলামী আন্দোলন পরিষদ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন ও খতমে নবুয়্যত আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশর মহাসচিব হন তিনি। পরে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নির্বাচিত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়