মাহমুদুর রহমান মান্না : খালেদা জিয়া এখন তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন

আগের সংবাদ

ওমিক্রন ঠেকাতে চার সুপারিশ

পরের সংবাদ

৭ কোটি ভারতীয় জাল রুপিসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা থানা এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। এসব মুদ্রা পাকিস্তান থেকে দেশটির দুই নাগরিকের মাধ্যমে আমদানি করা মার্বেল পাথরের সঙ্গে আনা হয়। শ্রীলঙ্কা হয়ে এসব মুদ্রা দেশে আনা হয়।
জাল মুদ্রাসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান। ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ডিসি আসাদুজ্জামান জানান, খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার মূল ফটকের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এক নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থান করছেন বলে তথ্য পায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপি নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পণ্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আরো ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ফাতেমা আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভারতে পাচার করত। জব্দ করা মুদ্রা গত ২৩ নভেম্বর ফাতেমার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন তালেব। ডিসি বলেন, তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথরের ৫০০টি বস্তার মধ্যে ৯৫টি বস্তায় করে ভারতীয় রুপিগুলো আনেন। এসব মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। ফাতেমার বিরুদ্ধে আগেও মতিঝিল থানায় জাল টাকা সংক্রান্ত মামলা করা হয়েছিল। এবার তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় আরো একটি মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়