মাহমুদুর রহমান মান্না : খালেদা জিয়া এখন তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন

আগের সংবাদ

ওমিক্রন ঠেকাতে চার সুপারিশ

পরের সংবাদ

ভোলার কবি মোজাম্মেল হক মহিলা কলেজ : ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোলা প্রতিনিধি : সদর উপজেলার কবি মোজাম্মেল হক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে কলেজ তহবিলের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আর্থিক দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, পকেট কমিটি গঠনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২০০২ সালের ২৮ জুলাই কলেজের ম্যানেজিং কমিটি বরাবর বিনাবেতনে শিক্ষকতা করার জন্য কলেজ সভাপতির সুপারিশসহ আবেদন করলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক তা গ্রহণ করে অধ্যক্ষ বরাবর পাঠান। যা ২০০২ সালের ১ আগস্ট গৃহীত হয়। এরপর থেকে পরবর্তীতে স্কুল শাখার কম্পিউটার শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম কলেজ শাখার প্রভাষক পদে নিয়োগ হলে টিপু সুলতান তার স্থলে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন অবসরে গেলে কমিটি সিনিয়র শিক্ষকদের উপেক্ষা করে সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষক টিপু সুলতানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়।
প্যাটার্ন বহির্ভূত সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে ২০২০ সালের ২২ মে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তিনি। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ১ হাজার টাকার পোস্টাল অর্ডারসহ অনেক প্রার্থী আবেদন করেন। পোস্টাল অর্ডারের টাকা কলেজ তহবিলে জমা না দিয়ে নিজেই ভোগ করেন। তিনি ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এসবি-০৪০৭৯৪৫৯৪ চেকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা কবি মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশনের নামে আত্মসাৎ করেন। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ভুয়া তথ্য দিয়ে এনটিআরসিএ-কে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করার কারণে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মাউশির শাস্তিস্বরূপ সেপ্টেম্বর মাস থেকে তার তিন মাসের বেতন কর্তন করা হয়। কবি মোজাম্মেল হক মহিলা কলেজ একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। বিধি মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো দায়িত্ব তিনি পালনের ক্ষমতা রাখেন না। তারপরও তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কাছে স্বীকৃতি নবায়নের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বোর্ড কর্তৃপক্ষ আবেদন স্থগিত করে এবং তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যাসহ স্বশরীরে বোর্ডে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেন। তিনি অবৈধভাবে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করে কবি মোজাম্মেল হক মহিলা কলেজে ডিগ্রি শাখার জন্য শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের জন্য বিগত ২০২১ সালের ১৮ জুলাই এবং কলেজ শাখার জন্য ২০২১ সালের ২২ জুলাই স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এছাড়া তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কিন্ডার গার্টেনের নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য নিয়মবহির্ভূত কলেজের কিছু কক্ষ ভাড়া দিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা তিনি প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন। তার এ সমস্ত দুর্নীতির কারণে বোর্ড তাকে শোকজ করলে তিনি তড়িঘড়ি করে কলেজ শাখার ১০ নাম্বার শিক্ষক আবুল কাশেমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এম মোকাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ টিপু সুলতান বলেন, এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে একটু, আধটু সমস্যা হবেই। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা এবং অভিভাবক সদস্যের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়