মাহমুদুর রহমান মান্না : খালেদা জিয়া এখন তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন

আগের সংবাদ

ওমিক্রন ঠেকাতে চার সুপারিশ

পরের সংবাদ

বিলিয়ার বক্তৃতায় ডা. দীপু মনি : জাতিরাষ্ট্র ধারণার আদি ও প্রথম প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে জাতিরাষ্ট্র ধারণার প্রথম প্রবক্তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের প্রথম থিঙ্কট্যাংক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল এন্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত ‘জাতিগঠন ও সংবিধান : বাংলাদেশ ও ভারতের অভিজ্ঞতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ দাবি তোলেন। এর স্বপক্ষে তিনি স্বাধীনতার পূর্বেকার বঙ্গবন্ধুর অনেক ভাষণ থেকে উদ্ধৃতির পাশাপাশি বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য এবং ছয় দফা আন্দোলনের কথা, ’৭০-এর নির্বাচনকালীন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ১৯৭২ সালে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর দেয়া মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসবের মধ্যেই সুস্পষ্টরূপে প্রতিফলিত, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং সর্বোপরি ধর্মনিরপেক্ষতা, যা আমাদের সংবিধানের মূলমন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বিলিয়া বক্তৃতামালা সিরিজের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার বিকালে বিলিয়া মিলনায়তন ও সমান্তরালে অনলাইন জুম প্ল্যাটফর্মে এ আয়োজন হয়। এতে চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং বিলিয়া চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। আয়োজনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং ভারতের ভিধি সেন্টার অব লিগ্যাল পলিসির গবেষণা পরিচালক ড. অর্ঘ্য সেনগুপ্ত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে বিলিয়া আয়োজিত এ বক্তৃতামালার সিরিজের নবম পর্ব ছিল এটি। ঘটনাচক্রে ভারতের সংবিধান রচনার পঞ্চাশবর্ষ পূর্তির দিনও ছিল এটি। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ভারতের সংবিধান দিবসে এ আয়োজনের জন্য বিলিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত এ দুই দেশের সংবিধান বৈশ্বিক রাজনীতি ও বিচার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো সাধারণ জনগণের বোধগম্য করে তোলার জন্য উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তরুণ প্রজন্ম যখন বুঝবে কেন সংবিধান প্রয়োজন এবং সেখানে থাকা আইন কীভাবে তাদের জীবনকে প্রভাবিত করে, তখনই প্রকৃত অর্থবহ হবে এ সংবিধান।

আয়োজনের শুরুতে বিলিয়া পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সবাইকে স্বাগত জানান। অধ্যাপক আলী আক্কাস তার প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি দিনই কোনো না কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিংবা গড়ে উঠেছে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান। অধ্যাপক আক্কাস আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান রচনার কাজটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি করেন। বলা চলে এটাই ছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান। এতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার নিশ্চয়তা এবং তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
সমাপনী বক্তৃতায় ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, শুধু সংবিধানের ওপর ভরসা করেই জাতিগঠন সম্ভব নয়। এর জন্য চাই সংবিধানে প্রণীত মূল্যবোধের ওপর জনগণের আস্থা ও অঙ্গীকার। শিক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়েই একে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়