মাহমুদুর রহমান মান্না : খালেদা জিয়া এখন তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন

আগের সংবাদ

ওমিক্রন ঠেকাতে চার সুপারিশ

পরের সংবাদ

তাজুল ইসলাম : উন্নয়নে চসিকের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্পৃক্ততা, সমন্বয় ও তদারকি থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনর উন্নয়ন কাজে শুধু সরকারের অর্থ বরাদ্দের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজস্ব আয়ও বাড়াতে হবে। তাই নিজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন উপায়ও বের করতে হবে। গতকাল শনিবার সকালে নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প উদ্বোধন ও পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আমবাগান সড়ক উন্নয়ন শেষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মেয়রকে ফাদার অব দ্য সিটি বলা হয়, চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয়। এটি দেশের গেটওয়ে। যে লক্ষ্যমাত্রা চট্টগ্রামের উন্নয়নের, তা কেন হবে না। সুশাসন ছাড়া কোনো উন্নয়ন অর্থবহ ও জনকল্যাণমুখী হয় না। জনগণের আকাক্সক্ষা, চাওয়া-পাওয়ার সঠিক প্রতিফলনই হলো প্রকৃত উন্নয়ন। কাউন্সিলররা কতটা এলাকা পরিষ্কার রাখতে পারছেন, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারছেন তার ওপর উন্নয়ন নির্ভর করছে।
তিনি চসিক প্রকৌশলী ও কাউন্সিলরসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারের হাতে টাকা তৈরির যন্ত্র নেই। সরকার রাজস্ব আদায় করে। সেই টাকায় উন্নয়ন হয়। নাগরিকের দায়িত্ব আছে। কাজ ঠিকভাবে না হলে অভিযোগ দেন। জনগণ ১০ হাজার টাকা দিলে ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন পাবে। এটা দেখলে তারা রাজস্ব দেবে। রাজস্ব আহরণ করতে হবে।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে পন্থা ও কৌশল এবং সৃজনশীলতায় চসিককে স্বনির্ভর করে ছিলেন সে জন্য সেবা ও উন্নয়ন কাজ কখনো গতিহারা হয়নি। এমনকি সরকারি থোক বরাদ্দের জন্যও অপেক্ষা করতে হয়নি।
তিনি চসিকের নতুন আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ জন্য পরিকল্পনা ও সৃজনশীলতা প্রয়োজন। প্রযুক্তি ও কৌশল উদ্ভাবনী জ্ঞান অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে প্রাণশক্তি দিতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলোর সব কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব প্রদান বড় কথা নয়, এতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই প্রয়োজন আইনগত ক্ষমতা দেয়া। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পে নগরীর ৩৬টি খালকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে যে খালগুলো এর বাইরে রয়েছে সেগুলোকে পুনরুদ্ধার ও খননের জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব ও প্রকল্প না দেয়া পর্যন্ত নগরীতে শতভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।
বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম জানান, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার খাল খনন প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ৬৫ ফুট প্রশস্ত হবে খালটি। ১১০৪ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ জেলা প্রশাসনকে দেয়া হবে। এরই মধ্যে এ খাতে ৯১১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে চসিক। ৫ দশমিক ৫ কি.মি. সড়ক ও ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ৯ টি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। ৭৫ ভাগ টাকা সরকার দেবে। বাকি অংশ চসিক দেবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন আরা চৌধুরী, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম। এর আগে মন্ত্রী নগরের আমবাগানে চসিকের সড়ক উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। এছাড়া স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম চসিকের পুরনো নগর ভবনের কে.বি. আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে চসিক কাউন্সিলদের সিটি করপোরেশন প্রশাসন অবহিতকরণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সেরও উদ্বোধন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়