পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা : আসামি অজ্ঞাত কয়েক হাজার

আগের সংবাদ

‘ওমিক্রন’ নিয়ে সতর্ক সরকার

পরের সংবাদ

ভুল স্বীকার করে আত্মহত্যার হুমকি মেয়র আব্বাসের : আ.লীগ থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : আলোচিত রাজশাহীর কাঁটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলীকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি এক সভায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর ভবনের সভাকক্ষে কাউন্সিলরদের জরুরি সভায় তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণের জন্য পাস হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। তবে ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে গতকাল ফেসবুকে লাইভে এসে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন আব্বাস আলী। এছাড়া তার আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল করার প্রমাণ দিতে পারলে সুইসাইড করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁটাখালী পৌর ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আব্বাস আলীকে মেয়র পদ থেকে অপসারণের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তা প্রস্তাব পাস হয়। এরপর আব্বাসকে অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদনে স্বাক্ষর করেন ১২ জন কাউন্সিলর। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে জমা দেয়া হয় ওই আবেদন। এ সময় ১০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গতকাল বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাকে সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি ছাড়াও সুপারিশ করা হয়েছে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের।
ওই সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে সভা শেষে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। তিনি বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে অব্যাহতির। এছাড়া আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠানো হবে কেন্দ্রে। বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শ বিরোধী কোনো ব্যক্তির স্থান আওয়ামী লীগে হতে পারে না। এদিকে নানা বিতর্কের পর গতকাল প্রথমবার মুখ

খোলেন মেয়র আব্বাস। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন। এ সময় তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, ম্যুরাল নিয়ে কিছু কথা আছে। স্থানীয় মাদ্রাসার বড় হুজুরদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে আমার বসা হয়। যতটুকু মনে হয়, একটি জানাজায় গিয়েছিলাম ওখানে। মাদ্রাসায় বসেছিলাম। কথা প্রসঙ্গে মাদ্রাসার বড় হুজুর ম্যুরালের বিষয়ে চেঞ্জ আনা যায় কিনা তা বলছিলেন। আমাকে বুঝিয়েছিলেন। আমি তো মুসলমান। কুরআনের কথা শুনে দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। ইসলামে পাপ হবে সেটি বলেছি। গল্পের ছলে বলেছি। সেটা হয়তো ভুল বলেছি। কান্নাজড়িত হয়ে অভিযোগের স্বরে মেয়র আব্বাস বলেন, ফেসবুকে আমাকে গালাগালি করছে। ভাঙচুর করছে। কাউন্সিলরদের দিয়ে জোরপূর্বক অনাস্থা আনা হয়েছে। কীভাবে তাদের থ্রেট দিয়ে অনাস্থা আনা হয়েছে, তার সব ডকুমেন্ট আছে আমার কাছে। আমার নামে আইসিটি মামলা দিল, দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিল। তাও মেনে নিয়েছি। ভুলের জন্য ক্ষমা চাই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সুন্দর জীবনে ফিরে যেতে চাই। বাচ্চার কাছে, মায়ের কাছে যেতে চাই। প্লিজ, আমার পাশে দাঁড়ান।
সবশেষ সুইসাইডের হুমকি দিয়ে আব্বাস আলী বলেন, আমাকে বলা হচ্ছে আমি দলে অনুপ্রবেশকারী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০২ সালে যুবলীগে প্রবেশ করি। তখন থেকেই আমার রাজনীতি শুরু। আমি অন্য কোনো দল করেছি, কেউ প্রমাণ করতে পারলে সুইসাইড করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়