পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা : আসামি অজ্ঞাত কয়েক হাজার

আগের সংবাদ

‘ওমিক্রন’ নিয়ে সতর্ক সরকার

পরের সংবাদ

নির্বাচন এলে এলাকায় পরাজিত হলে লন্ডনে!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে সব প্রার্থীই লন্ডনপ্রবাসী। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে অনেকেই লন্ডনে চলে যান আবার নির্বাচন এলে দেশে ফিরে আসেন।
জানা যায়, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী সব লন্ডনপ্রবাসী। নির্বাচনে উড়ছে টাকার ছড়াছড়ি। ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আলী আহমেদ মুছা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খালেদুর রহমানকে জরিমানা করা হয়েছে। সব প্রার্থীই লন্ডনপ্রবাসী হওয়ার কারণে ভোটাররা বিপাকে পড়েছেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা হলো- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আলী আহমেদ মুছা, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আব্দুল মুকিত, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল ইসলাম চৌধুরী বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তালিব চৌধুরী নিজাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল গফুর। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা নিজেদের পক্ষে ভোট আনার জন্য টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক ভোটার আব্দুল করিম জানান, অনেক প্রার্থীই বসন্তের কোকিল। তারা নির্বাচন আসলে এলাকায় আসে শুধু নাম ফুটানোর জন্য। নির্বাচন চলে গেলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। কিম্মত আলী নামে এক ভোটার জানান, নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হলেও ভোটাররা অনেক সচেতন। যাদেরকে এলাকায় পাওয়া যাবে এবং ভালো মানুষ দেখে আমরা ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আলী আহমেদ মুছা জানান, আমি লন্ডনপ্রবাসী হলেও আমার হৃদয়ে ইউনিয়নের জনগণ রয়েছে। আমি লন্ডনের আরাম আয়েশ ছেড়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনগণ আমার ওপর আস্থা রাখতে পারছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খালেদুর রহমান জানান, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। মাঝে মধ্যে বউ, বাচ্চাদের টানে লন্ডনে যেতে হয়। এছাড়া সারা বছর আমি এলাকায় অবস্থান করি। নির্বাচনে অনেক টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানায় এ ব্যাপারে কঠোর প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য। আব্দুল মুকিত, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। তিনি বলেন, আমি প্রয়োজনে লন্ডনে যাওয়া আসা করি। এছাড়া এলাকায় থাকি। নির্বাচনে ইউনিয়নের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। আমি আশাবাদী সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নির্বাচিত হব।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে যে প্রার্থীই আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর নির্বাচনে কালোটাকার ছড়াছড়ির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়