পুলিশের স্থাপনায় হামলার ঘটনায় মামলা : আসামি অজ্ঞাত কয়েক হাজার

আগের সংবাদ

‘ওমিক্রন’ নিয়ে সতর্ক সরকার

পরের সংবাদ

কাজিরহাট-আরিচা রুট : সড়কে আটকা তিন শতাধিক যানবাহন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার কাজিরহাট-আরিচা রুটের চারটি ফেরির মধ্যে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে বড় ফেরিটি বন্ধ রয়েছে। বাকি তিনটি ছোট ফেরি দিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন পারাপার চলছে। এতে দুই পাড়ে আটকা পড়েছে ৩ শতাধিক যানবাহন। ৩ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে যানজট। গতকাল শুক্রবার সকালে কাজিরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বড় ফেরি শাহ মখদুমে যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দিলে সেটি মেরামতের জন্য আরিচাঘাটে পাঠানো হয়েছে। কপোতি ও কলমিলতা দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আর ফেরি ফরিদপুর দিয়ে শুধু প্রাইভেট কার পারাপার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এখান থেকে মূলত রো রো ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল দুটি অন্য ঘাটে নিয়ে যাওয়ায় ঘাটে যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে ঘাটে অবস্থান করা এসব পুরনো ফেরি বারবার যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দিচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এই নৌপথে ফেরি চালু করা হয়। কিন্তু বর্তমান অবস্থার জন্য ঘাটের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন যাত্রী, চালক ও শ্রমিকরা। সপ্তাহ না যেতেই ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দিচ্ছে।
সরজমিন কাজিরহাট ঘাটে দেখা গেছে, ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন যানবাহনের চালকরা। দূরপাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ট্রাক টার্মিনাল, আবাসিক হোটেল, পাবলিক টয়লেট, যাত্রীছাউনি ও লাইটিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রাকচালকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কাজিরহাট ঘাটে কথা হয় বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে আসা রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ৩ দিন ধরে ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছি। সিরিয়াল পাওয়া তো দূরের কথা। আরো দুই দিন ঘাটে অবস্থান করা লাগতে পারে। একটি ফেরিতে ৪-৫টি করে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এত ছোট ফেরি দিয়ে বড় একটি রুটের যানবাহন পারাপার করা সম্ভব নয়। কুষ্টিয়া থেকে আসা ইয়াকুব আলী বলেন, ঘাটে দুদিন ধরে আটকা আছি। ঘাট কর্তৃপক্ষ পণ্য পরিবহনগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। একটি ফেরিতে মাত্র চার-পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাক তোলায় এমন জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। ফেরি কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার শেষ নেই। এ কারণে ট্রাকচালকরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
লালমনিরহাট থেকে এসেছেন সালমান রহমান নামে এক চালক। তিনি বলেন, দিনের পর দিন এখানে অবস্থান করলেও ঠিকমতো ফেরির দেখা পাইনি। এখানে আবাসিক হোটেল, বাথরুম, টার্মিনাল নেই। নিরাপত্তার জন্য একটি লাইটও লাগানো নেই।
আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলম বলেন, ঘাটে আগত ট্রাকচালকদের জন্য রাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডাকাতি বা মালামাল চুরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিকল ফেরিটি মেরামতের জন্য আরিচাঘাটে পাঠানো হয়েছে। মেরামত শেষে যানবাহন পারাপারে যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই বিড়ম্বনা কাটানো সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ঘাটের নিয়ম অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার ও জরুরি সেবার পরিবহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দুই পাড়ে তিন শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় আছে। বারবার ফেরি নষ্ট হওয়াতে আমরা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়