লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

১০ম গ্রেড দাবি নয়, ন্যায্য অধিকার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একটি জাতিকে সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়তে হলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্র নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ জাতীয়করণ নীতি ঘোষণা করেন। ’৭২-এর সংবিধানে বর্ণিত গণমুখী, সর্বজনীন, বৈষম্যহীন একই ধরনের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা সব শিশুর জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বলেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে তার দরকার বেশি বলে উল্লেখ করেন।
বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন সঠিক শিক্ষা ছাড়া দেশ গঠন কখনোই সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর ছিল শিক্ষা আর শিক্ষকদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন নাজুক, ঠিক সে অবস্থাতে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করার মধ্য দিয়ে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন জাতিকে সুগঠিত করতে হলে সর্বপ্রথম দরকার সুশিক্ষা। এমনকি শিক্ষা ব্যবস্থায় যেন কোনো রকমের বৈষম্য সৃষ্টি না হয় সেদিকেও ছিল তার তীক্ষè নজর। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। সেই মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে, তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলে আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে স্নাতক/স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদায় রেখে দেয়া হয়েছে। চরম একটা গ্রেড বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন স্নাতকধারী প্রাথমিক শিক্ষকরা। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড নিছক কোনো দাবি নয়, এটা ন্যায্য অধিকার। কেন ন্যায্য অধিকার তার সামান্য আলোকপাত করছি মাত্র।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক সমমান (২য় বিভাগ) বেতন গ্রেড ১৩তম।পাশাপাশি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক সমমান বেতন গ্রেড ১০ম।
পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান বেতন গ্রেড ১০ম। হাসপাতালের নার্সদের নিয়োগ যোগ্যতা এইচএসসি (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং)
বেতন গ্রেড ১০ম।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নিয়োগ যোগ্যতা এসএসসি (৪ বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা) বেতন গ্রেড ১০ম। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক, বেতন গ্রেড ১০ম।
এছাড়া পিএসসি কর্তৃক সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক (দ্বিতীয় শ্রেণি) দেড় বছরের ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপিএড), বেতন গ্রেড ১০ম। এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্নাতক যোগ্যতায় সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দাবি নয়, ন্যায্য অধিকার। কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের কততম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছে তা পর্যালোচনা করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করুন।
মো. জামিল বাসার
সহকারী শিক্ষক, বওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়