হেমন্তবালিকা তুমি আমনের ঘ্রাণে
মহুয়া-মাতাল হওয়া মন উতল করেছ জানি
কখনো মেওয়ার পাশে মলনের খুঁটি
তোমাকে চিনেছি দক্ষিণের মাঠে পূবালি বাতাসে
কখনো গাঙের কূলে ঝরা কাশফুলে বসা
সবুজ আঁচল উড়িয়ে গোধূলি ঠেলা
হেমন্তবালিকা তুমি দুরন্ত সন্ধ্যার সাথে ছোটো
মলনের পরে বাতাসে উড়াও ধান
নবান্নের ফোয়ারায় ভেসে যেতে যেতে গ্রাম্যগীতে
ভরে তোলো আনন্দিত কৃষকের বুক
জোছনা ও জোনাকির মাঝখানে বসে থাকো
সুনির্মল আলো
হেমন্তবালিকা তুমি ঘাসের কুয়াশা মাখো পায়ে
তোমার ধ্বনিতে শিহরিত হিমঝুরি বকফুল
তোমাকে চেনে না যে চাঁদ যে সূর্য তারা
তারাই আকাশ থেকে নেমে আসে তোমাকে সাজাতে
পুঁথির শ্লোকের সাথে নাচো তুমি একা
আমার কার্তিক আমার অগ্রহায়ণ বড় সুখী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।