লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

হাসান আজিজুল হক : নাটকেরও একজন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাসান আজিজুল হক বাংলা কথাসাহিত্যের প্রাণপুরুষ, নতুন বাঁকেরও স্রষ্টা। দেশভাগের মর্মান্তিক যন্ত্রণা আর উদ্বাস্তু জীবনের হাহাকারকে আখ্যান করে নতুন গঠন আর নির্মিতির মাধ্যমে তিনি এ পালাবদলের নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। মননশীল প্রবন্ধ রচনাতেও তিনি অনন্য। গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, দার্শনিকচেতনা আর তীক্ষè-যুক্তির সমন্নয়ে তিনি প্রবন্ধের আলাদা এক ঘরানা সৃষ্টি করেছেন। অল্পবিস্তর কবিতাও লিখেছেন। গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও নিবেদিত ছিলেন আজীবন।
এসব কিছু ছাপিয়ে তিনি যে নাটকেরও একজন হয়তো অনেকেরই তা অজানা। অভিনয় কলায় যেমন তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, তেমনি বাংলাদেশের নাট্যান্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন আজীবন। নাটক তথা নাট্যসাহিত্য নিয়েও রয়েছে তার নিজস্ব ও স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি।
খুলনার বিএল কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে হাসান আজিজুল হক প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি রাজশাহী কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েই তুমুল সাংস্কৃতিক আড্ডায় সম্পৃক্ত হন। এ সময় তিনি গল্পের পাশাপাশি কবিতা লিখেছেন এবং নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে সত্যিকার অর্থে তার নাট্যসম্পৃক্তি ঘটে ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে। প্রাজ্ঞ চিন্তাবিদ আলী আনোয়ার, সংস্কৃতি অন্তঃপ্রাণ নাজিম মাহমুদ সহযোগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যান্দোলনে সক্রিয় হন। পরে মলয় ভৌমিক যুক্ত হন এ নাট্যান্দোলনে। হাসান আজিজুল হক এ সময় বেশ কয়েকটি নাটকের অভিনয়ে অংশ নিয়েছেন। মনোজ মিত্রের ‘গল্প হেকিম সাহেব’ নাটকে তিনি হেকিম চরিত্রে অভিনয় করেন। মনোজ মিত্রের ‘চাক ভাঙা মধু’ নাটকের অভিনয়েও তিনি অংশ নেন; বাদল সরকার ও মলয় ভৌমিকের নাটকও করেছেন তিনি। কেমন ছিল তার অভিনয় দক্ষতা- এ প্রসঙ্গে তিনি একবার রাজশাহীতে আয়োজিত এক সাহিত্যানুষ্ঠানে মজা করে বলেছিলেন যে তিনি অভিনয়ে থাকলে অনেক অভিনেতারই ভাত মারা যেত! নিতান্ত মজা করে স্বভাবসুলভভাবে কথাটি বললেও কথাটির সারাৎসার পাওয়া যায় বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনৎকুমার সাহার মন্তব্যে :
…খুব জোরের সঙ্গে বলতে ভালো লাগছে, নাজিম মাহমুদ, হাসান আজিজুল হক, আলী আনোয়ার, এরা সে সময়ে যে সব নাটক মঞ্চে উপহার দিতেন, তাদের নিয়ে লজ্জা পাবার কোনো কারণ আমাদের ছিল না। বেশ কজনের অভিনয় ত ছিল একেবারে প্রথম শ্রেণির। হাসান আজিজুল হক ও নাজিম মাহমুদের অভিনয় ভুলবার নয়। বিশ্ব সেরা অভিনয়ের পাশে তাদের অনায়াসে দাঁড় করিয়ে দেয়া যেত। আফসোস এই, ওই সব মঞ্চের অভিনয় মঞ্চেই মিলিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর স্মৃতিটুকু ছাড়া কিছুই তাদের আর অবশিষ্ট নেই। হাসানের অভিনয় দক্ষতার কথা এখন কেবল বলে বোঝানোর চেষ্টা। কোনো নিদর্শনই চোখের সামনে হাজির করার উপায় নেই। …।
হাসান আজিজুল হক নাটকের অনুবাদও করেছেন। লেবানিজ ফরাসি নাট্যকার জর্জ শেআদের ‘ভাসকো’র ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তর করেছিলেন তিনি। ‘চন্দন কোথায়’ নামে নাটকটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চায়িত হয়েছে। তিনি তাতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ভাষান্তরের প্রসঙ্গকথায় তিনি যে ভাষ্য দিয়েছেন, তাতে এটিই বিধৃত হয় যে তিনি নাটককে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি জানাচ্ছেন : “… আধা রূপকথার আবহে তৈরি, মৃদু ও অনুচ্চতারে বাঁধা প্রায়- দিবাস্বপ্নের মিশেলে রচিত ‘ভাসকো’ আজ যুদ্ধের বিরুদ্ধে এক শিল্পসম্মত প্রতিবাদ হিসেবে সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত।” মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে সারাদেশে নাট্যান্দোলন দানা বেঁধে ওঠে। অচিরেই মঞ্চনাটক শিল্পের সবচেয়ে নান্দনিক ও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ঢাকায় গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। হাসান আজিজুল হক ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে এখানে তেমন আলাদা করে নাট্যচর্চা হতো না। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় রূপে গড়ে তুলতে নানা দিকে এর কর্মধারাকে বিস্তৃত ও প্রসারিত করতে সচেষ্ট হলেন। তিনি মলয় ভৌমিকসহ নাটকে আগ্রহী তার সহকর্মীদের নিয়ে নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি পরবর্তীতে গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনে সক্রিয় হন। হাসান আজিজুল হক নাট্যচর্চাকে জোরদার করার জন্য ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে দিয়ে একেকজনকে একেক রকম নাটক করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে ‘থিয়েটার ওয়ার্কশপ’ গড়ে তোলেন তিনিসহ নাট্যমোদী কয়েকজন, পর পর দুটি ওয়ার্কশপ হয়; যার ফলে রাজশাহীতে সূত্রপাত হয় গ্রুপ থিয়েটারের। এর বছর দুয়েক পরেই মলয় ভৌমিকের প্রচেষ্টায় ‘অনুশীলন’ নাট্যদল গঠিত হয়। সুনির্দিষ্ট একটি সামাজিক আন্দোলনকে মঞ্চ ও মঞ্চনাটকের অন্তর্ভুক্ত করে দেখার প্রচেষ্টা শুরু থেকেই অনুশীলনের ছিল। অনুশীলন ও মলয় ভৌমিকের প্রতি তার আস্থা ছিল আজীবন। তিনি বলেছেন : “রাজশাহীতে মলয় এখনো তার গ্রুপ ‘অনুশীন’ নিয়েই আছে। এখনো আমি ‘অনুশীলনে’র যে কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হই। কারণ আমার একটি আগ্রহ রয়েছে তার প্রতি।”
নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ও ঢাকা থিয়েটারের প্রাণপুরুষ নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফের যুগল চিন্তায় ১৯৮০ সালের দিকে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে ঐতিহ্য ও সমকাল সচেতন সংগঠন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে আধুনিককালের শিল্প মনস্কতায় নাট্যচর্চার জন্য গ্রাম থিয়েটার আন্দোলন শুরু হয়। মূলত ইউরোপীয় তথা ঔপনিবেশিক নাট্যাঙ্গিকের বাইরে গিয়ে ‘নিজস্ব নন্দন প্রকরণে’ বাংলার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সংগ্রামী জীবনকে তুলে ধরার মাধ্যমে বাঙালির ‘আত্মপরিচয়’ আবিষ্কার এবং ‘দেশজ নাট্যাঙ্গিক’ নির্মাণই ছিল গ্রাম থিয়েটারের মৌল প্রেরণা। হাসান আজিজুল হক গ্রাম থিয়েটারের উপদেষ্টা হিসেবে আমৃত্যু এ আন্দোলনে সত্রিয় ছিলেন। এ কথা বলাবাহুল্য যে তার উপদেষ্টার এ পদটি শুধুমাত্র আলঙ্কারিক কোনো পদ ছিল না। তিনি গ্রাম থিয়েটারের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ করে বৃহত্তর রাজশাহীর ‘ইলা মিত্র অঞ্চল’-এর সংগঠনসমূহের নানা আয়োজনে তিনি উপস্থিত থেকে নাট্যকর্মী ও দর্শকদের উৎসাহিত করেছেন। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে রাজশাহীর পুঠিয়া থিয়েটার আয়োজিত ‘ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যমেলা’য় উপস্থিত থেকেছেন তিনি। রাজশাহীর চারঘাটের পদ্মা-বড়াল থিয়েটারের আয়োজনে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের তিন দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মশালা মঞ্চকুসুম শিমূল ইউসুফের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন হাসান আজিজুল হক। আমাদের স্মরণে আছে যে ২০০১-এর সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে দেশে এক ভয়াবহ সংকটকাল উপস্থিত হয়। মৌলবাদী সহিংস রাজনীতির চেহারা বীভৎস রূপে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। বিশেষত নির্বাচনের পর বিজয়ী চারদলীয় জোট সরকারের মদদে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জনপদে মৌলবাদী নেতাকর্মীদের দ্বারা যে ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা চলতে থাকে তা প্রতিটি বিবেকবান মানুষকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। ২০০২ সালের ১৬ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন। গ্রাম থিয়েটারের উপদেষ্টা হাসান আজিজুল হক এ সম্মেলনের উদ্বোধনের মাধ্যমে জাতীর চরম মুহূর্তে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে মানুষের চেতনায় শুভবুদ্ধির প্রজ¦লিত মশাল জে¦লে দেন। ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার পত্রিকা’র সম্মেলন পরবর্তী বিশেষ সংখ্যার প্রতিবেদন এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে : ‘ ১৬ মার্চের তপ্ত দুপুরে রাঢ়বঙ্গের কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের পঞ্চম সম্মেলন উদ্বোধন করতে এসে বলেছেন, সংস্কৃতির বন্ধনের কথা। সে বন্ধন প্রতিদিন দৃঢ় অটুটও থাকে অন্ততকাল, যদি মানুষ নিরবধিকাল এর সাধনা করে। সংস্কৃতির বন্ধন ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র হয়, যেমন এখন হচ্ছে। এ সময় সাংস্কৃতিক কর্মীদের দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়। এই মহতী মুহূর্তে হাসান আজিজুল হক জনপদের দুর্দিনে আরো একবার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন আমাদের কর্তব্য কর্মের কথা। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনের আলোকে প্রজ¦লন করে রাঢ়বঙ্গের এই অভিভাবক এ জনপদের মানুষের চেতনার সলতেতে আর একবার আগুন জ¦ালিয়ে দিলেন।’
হাসান আজিজুল হক মঞ্চেরই একজন- এ কথাটি কেবল আনুষ্ঠানিক নাটকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়; তিনি যখন বক্তৃতা দেবার জন্য রজু ও তেজী চেহারা নিয়ে মঞ্চে দাঁড়ান জেশ্চার-পশ্চারে বাকবৈদগ্ধ্যে তিনি আগাগোড়া একজন একক অভিনেতা হয়ে যান। ক্রমাগত তিনি বক্তৃতা নয়; অভিনয় করে যেতে থাকেন। নাটকের একটি আবহের মধ্যে থেকে দর্শক-শ্রোতারা মন্ত্রমোহিত হয়ে তার কথা শুনেন।
শুধু বক্তৃতার মঞ্চে নয় বন্ধু-বান্ধবদের ঘরোয়া আড্ডায়ও তিনি স্বতঃস্ফূর্ত এবং অনায়াসে নাট্যমুহূর্ত তৈরি করতে পারতেন। হাসান আজিজুল হকের বন্ধু বিশিষ্ট পণ্ডিত ও শিক্ষক হায়াৎ মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন : ‘অনায়াসসাধ্য, অচর্চিত, স্বতোৎসারিত, অদম্য, নিনাদিত শব্দপ্রস্রবণ। আমার চেনা চৌহদ্দিতে বাক্শিল্পী, কথা মধুময়, মানুষ দু-চারজন আছেন বৈকি, সকলেই নিজ নিজ ধরনে স্বাতন্ত্রিক, কিন্তু সেখানেও হাসান বিশিষ্ট। বৈশিষ্টের হেতু তার কণ্ঠস্বর বা বাচনভঙ্গি নয়; হেতু তার অনর্গল চমকে দেয়ার মতো বাক্বৈদগ্ধ্য; বাক্যবিন্যাস, আকস্বিক অলঙ্কার-উপমা-সংকেত-তির্যকতা এবং মাঝখানে বিনি সুতোর মালা গাঁথুনি থাকে ঈষৎ শ্লেষাজড়িত কণ্ঠের উচ্চরোল হাস্যধ্বনি।’ বলনে-কথনে নাটকীয়তায় সর্বত্র বাজিমাত। নাটক ও মঞ্চনাটক নিয়ে তিনি স্বতন্ত্র্য দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন। পাঠযোগ্য নাটক অর্থাৎ যাকে আমরা নাট্যসাহিত্য বলছি তাকে উপেক্ষা করে বর্তমানে যে অভিনয়নির্ভর নাটক লিখিত হচ্ছে তাকে তিনি নতুন শিল্প হিসেবেই দেখেছেন। তার মতে মঞ্চে অভিনয়ের জন্য লিখিত নাটক, যাকে আমরা ‘স্ক্রিপ্ট’ বলি, যা প্রায়শই ছাপা হয় না, তা আসলে আলাদা শিল্পই। তিনি বলেন, …নতুন শিল্প দাঁড়িয়ে যাচ্ছে যার আলাদা ভাষা আমরা এতকাল বুঝতে পারিনি সেটা অনাবশ্যকভাবে আর একটা পাঠনির্ভর ভাষাশিল্পের সঙ্গে মিশে যেত বলে।
অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা যেমনটি বলেছেন যে প্রত্যক্ষদর্শীর স্মৃতিটুকু ছাড়া হাসানের অভিনয় দক্ষতার কোনো নিদর্শনই চোখের সামনে হাজির করার উপায় নেই। তেমনি তার নাট্য সম্পৃক্তির কথাও তেমন আলোচিত হয়নি বা লিখিত তেমন বিবরণীও পাওয়া যায় না। হাসান আজিজুল হক দেশভাগের মর্মন্তুদ যন্ত্রণাকে আখ্যান করে বাংলা কথাসাহিত্যে নতুন বাঁকের সূচনা করেছেন, যুক্তি-চিন্তা ও দর্শনকেন্দ্রিক প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা সৃষ্টি করেছেন, গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অংশ নিয়ে তাদেরই একজন হয়েছেন- এ বিষয়গুলো নিয়ে যেভাবে বৃহৎ পরিসরে আলোচনা হয়, তার নাট্যসংশ্লিষ্টতা নিয়েও তদ্রুপ আলোচনার প্রয়াস দেখতে পাব এ আশা করতেই পারি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়