লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল মাঠে গড়াচ্ছে কাল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রায় এক মাসের বিরতি দিয়ে আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল লিগ। তবে নতুন মৌসুমটা বরাবরের মতো ফেডারেশন কাপ দিয়ে নয়, শুরু হচ্ছে স্বাধীনতা কাপের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে অনুষ্ঠিত হলো টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন, ড্র ও স্পনসরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর।
প্রায় দুই বছর পর ফিরছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল। এর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ স্বাধীনতা কাপের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৭২ সাল থেকে চলে আসা এই টুর্নামেন্টের চলতি আসর হবে ১১তম আসর। স্বাধীনতা কাপের প্রথম দিনে আগামীকাল শেখ রাসেল খেলবে উত্তর বারিধারা ক্লাবের বিপক্ষে এবং শেখ জামাল খেলবে বিমানবাহিনীর বিপক্ষে। সংস্কারকাজ চলমান থাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এ মৌসুমে কোনো ম্যাচ হবে না ঘরোয়া ফুটবলে। তাই এবার স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ হবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে। তবে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, স্বাধীনতা কাপের ফাঁকেই ১১-২২ ডিসেম্বর কমলাপুরে হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল।
দুটি টুর্নামেন্ট একসঙ্গে কমলাপুরে পরিচালনার ব্যাপারে গতকাল ড্র অনুষ্ঠানে বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সাফ সচিবলায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ২টি টুর্নামেন্ট চালাব আমরা কমলাপুরে। সেখানে ফ্লাডলাইট আছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। নারী ফুটবলের দিন স্বাধীনতা কাপের ম্যাচ রাখা হবে না।’
কিন্তু কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকটা খেলার অনুপযোগী। এই টার্ফে খেলে ফুটবলাররা চোটে পড়েন অনেক বেশি। খেলার মান ভালো হয় না। মূলত নিচের দিকে লিগগুলো এখানে হয়। শীর্ষ স্তরের কিছু ম্যাচও হয়েছে আগে। তবে ইতোপূর্বে মোহামেডানসহ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কয়েকটি দল কমলাপুরে খেলতে অনাগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এবার স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ এই মাঠে আয়োজনে অনড় বাফুফে।
অনেকে বলছেন, সব দলকে ঢাকার বাইরে নিয়ে স্বাধীনতা কাপ আয়োজন করা যেত। যেমন সিলেট স্টেডিয়ামের কথা বলছেন অনেকে। এমন উদ্যোগ কি নেয়া যেত না? এমন প্রশ্নে সালাম মুর্শেদী আর্থিক ও করোনাকে কারণ হিসেবে দেখান, ‘করোনা একটা সমস্যা। তাছাড়া আমরা সব ক্লাবকে সিলেটে নিলে খরচ হতো অনেক। সিলেটে গেলে ঢাকার মতো প্রচার হতো না। তাই কমলাপুরে করা।’ অনেকে অবশ্য বলছেন, মূলত আর্থিক কারণেই ঢাকার বাইরের স্বাধীনতা কাপ আয়োজনে চিন্তা করেনি বাফুফে। সালাম অবশ্য বলেন, ‘সব দল শেষ পর্যন্ত কমলাপুরে ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ কমলাপুরে খেলতে রাজি হয়েছে।’
প্রশ্ন এসেছে রেফারিং নিয়েও। ঢাকার রেফারিরা অনেক কিছু এড়িয়ে যান। কিন্তু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পার পান না বাংলাদেশের ফুটবলাররা।
সম্প্রতি যেমন মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যেমন পেনাল্টি পেয়েছে, আবার শেষ দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টিও হয়েছে। যার পরিণতিতে ২টি টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ খেলতে পারেনি ফাইনালে।
কাজেই ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং উন্নত করার বিকল্প নেই বলছেন সবাই। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমরা রেফারিংয়ের মান উন্নয়নে গত সপ্তাহে একটি কোর্স করেছি। রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত দিলে সব চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেয়া হয়। অতীতের ভুল শুধরে আমরা এগিয়ে যাব। রেফারিংয়ের প্রতি আরো নজর দেব।’
এদিকে প্রিমিয়ার লিগের ১২ দলের সঙ্গে স্বাধীনতা কাপে এবার যোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীকে। অবশ্য বাফুফে স্বাধীনতা কাপে অন্তত ১৬টি দল আশা করেছিল। কিন্তু তিনটির বেশি দল পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) বাফুফের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেনি। ১৫ দলকে গতকাল লটারির মাধ্যমে চার গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ৩ গ্রুপে ৪টি করে দল, একটি গ্রুপে আছে ৩টি দল। ৩ দলের গ্রুপ ‘এ’। এই গ্রুপটিতে শিরোপাপ্রত্যাশী আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে আছে প্রিমিয়ারে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও রহমতগঞ্জ।
‘ডি’ গ্রুপকে কেউ কেউ ‘মৃত্যুকূপ’ বলছেন। এই গ্রুপে আছে বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও নৌবাহিনী। বাংলাদেশ ফুটবলে জায়ান্ট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন তারা। আবার স্বাধীনতা কাপের সর্বশেষ তাদের পরে ঘরোয়া ফুটবলে আরেক জায়ান্ট ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনী। মৃত্যুর কূপ বলতে হবে ‘সি’ গ্রুপকেও। এই গ্রুপে খেলছে মোহামেডান, সাইফ স্পোর্টিং, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
স্বাধীনতা কাপে অংশ নেয়া দলের তালিকা :
গ্রুপ ‘এ’: আবাহনী লিমিটেড, রহমতগঞ্জ, স্বাধীনতা সংঘ।
গ্রুপ ‘বি’: শেখ জামাল ধানমন্ডি, শেখ রাসেল, উত্তর বারিধারা, বিমানবাহিনী।
গ্রুপ ‘সি’: সাইফ স্পোর্টিং, মোহামেডান স্পোর্টিং, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গ্রুপ ‘ডি’: বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ, নৌবাহিনী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়