লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জে বার্ষিক পরীক্ষা : স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই এক বেঞ্চে ৪ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : মহামারি করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধির জটিলতার কারণে প্রায় দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা। তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার কড়াকড়ি বিধিনিষেধ থাকলেও সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এইচ এমপি উচ্চ বিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাসে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রতি বেঞ্চে তিন থেকে চারজন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
দীর্ঘ বিরতির পর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত বুধবার থেকে সুনামগঞ্জে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা। শহরের এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যালয়ে পাঠদানকালে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে এসব বিধিনিষেধের বালাই ছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালীন বিদ্যালয়গুলোতে সরজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে।
আসন বিন্যাসে অভিভাবকরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সরকার করোনাকালে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। এজন্য প্রতিদিন পাঠদান না দিয়ে সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন ক্লাস রুটিন করে দিয়েছে। এত শৃঙ্খলার পরও কেন প্রতি বেঞ্চে চারজন করে বসানো হচ্ছে প্রশ্ন তাদের।
অভিভাবক লিটন সরকার বলেন, আমার মেয়ে সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরীক্ষার রুমে গিয়ে দেখি প্রতি বেঞ্চ চারজন করে বসানো হয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতি বেঞ্চে দুইজন করে বসানোর কথা। কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে প্রতি বেঞ্চে চার থেকে পাঁচজনকে নিয়ে। তিনি বলেন, দুই বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে। সেখানে প্রধান শিক্ষককে আমরা পাইনি।
এদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছে। এজন্য সবাইকে মাস্ক ও সেনিটাইজার দেয়া হয়েছে। তবে জায়গা সংকুলান ও শিক্ষক স্বল্পতায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র (এসসি) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অসিম চন্দ্র বর্মণ বলেন, বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বসানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সরকারি বিধিনিষেধের আলোকে আসন বিন্যাস সাজিয়েছি। তবে জায়গা সংকুলান ও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে কিছুটা সমন্বয় করেছি।
সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, অনেক দিন পর বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা খুব উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এক বেঞ্চে চারজনের আসন বিন্যাস সম্পর্কে তিনি বলেন, সকালে ছাত্রীরা সিট না পেয়ে হঠাৎ করে বসে যায়। পরে আমরা ব্যবস্থা করে দুইজন করে দিয়েছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরাজয়ে ডরে না

বীর। আমরা বীরের জাতি। করোনা মহামারিকে আমরা জয় করেছি। এই আঠারো মাসের যে ক্ষতি হয়েছে তা আমরা আগামী ছয় মাসে পুশিয়ে নেব।
প্রতি বেঞ্চে চারজন করে বসানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, তিন ফুট দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, কেউ স্বাস্থ্যবিধির ব্যত্যয় করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়