প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেছেন, গণতন্ত্রকে মূলমন্ত্র ধরে যে দেশের জন্ম হয়েছিল সেই দেশে গত এক যুগে চালু হয়েছে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। আর এই উন্নয়নের বিষে লাল হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, মার্কিন সংস্থা মিলোনিয়ান চ্যালেঞ্জ করপোরেশন দরিদ্র ও সুশাসন নিশ্চিত করতে চেষ্টা করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন অংকে অনুদান দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ এই ফান্ড পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের ১৬টি ক্ষেত্রে রেড জোনে আছে বাংলাদেশ। আগের বছরগুলোতে ছিল আরো কম। এখন পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেশি উন্নয়ন, কম গণতন্ত্র। উন্নয়নের গণতন্ত্র নামক উদ্ভুত সব স্লোগান। ঠিক যেমন আইয়ুবের বুনিয়াদি গণতন্ত্র। সামরিক স্বৈরশাসক তার ক্ষমতায় থাকার বয়ান হিসেবে উন্নয়নকে বেছে নিয়েছিল। বর্তমান সরকারও একদমই তাই।
তিনি বলেন, আজকেও ভাবতে অবাক লাগে, ইয়াহিয়ার মতো একজন সামরিক শাসকের অধীনে ’৭০ এ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল সোনার বাংলা শ্মশান কেন? যেখানে বঞ্চিত, শোষিত পূর্ব পাকিস্তানের কোন দল ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন, ভোটাধিকার প্রয়োগ, নিজের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন বিনা প্রতিবাদে সেই জয় রায়কে মেনে নেয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা না হলে একটা দেশ ভেঙে নতুন আরেকটা দেশের জন্ম হতে পারে। বর্তমানে দেশে এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য অকল্পনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য হিসাব করলে আজকের স্লোগান হবে সোনার বাংলা নরক কেন? স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পড়লে পরিষ্কার হয় যে, ’৭০-এর নির্বাচন মেনে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে তখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। নির্বাচনে বিজয়ের পরেও ক্ষমতা হস্তান্তরকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসনের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। আজ দেশে সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মী, কিছু ব্যবসায়ী, কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মানুষের সঙ্গে বাকি ৯০ শতাংশ মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।