লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুট : ফের সমুদ্রযাত্রা শুরু ‘বে ওয়ানের’

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে আবার সমুদ্রযাত্রা শুরু করেছে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘বে ওয়ান’। একসঙ্গে ১ হাজার ৮০০ পর্যটক বহনে সক্ষম ‘বে ওয়ান’ জাহাজে জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকায় চেয়ার, কেবিন ও ভিভিআইপি স্যুটে আকর্ষণীয় সব সেবা রয়েছে। পর্যটকরা চাইলে সেন্টমার্টিনে গিয়ে জাহাজেই রাতযাপন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে বে ওয়ান গত ডিসেম্বরে চালু হলেও করোনা মহামারির কারণে গত মার্চে অপারেশন বন্ধ রাখা হয়। তবে নতুন উদ্যমে চালু হলেও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ১৫ নং ঘাট থেকে বে ওয়ান ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে। আগামীকাল শনিবার সেন্টমার্টিন থেকে ফিরবে। এরপর ডিসেম্বর থেকে শুক্র, শনি ও রবিবার নতুন সূচিতে পর্যটক নিয়ে জাহাজটি চলাচল করবে। টিকিট বিভিন্ন কাউন্টার ছাড়াও অনলাইনে পাওয়া যাবে। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্বমানের পর্যটকবাহী জাহাজ ‘বে ওয়ান’ চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে আবার সমুদ্রযাত্রা শুরু করছে। জাহাজটি আসা-যাওয়ায় ২৫ টন তেল খরচ হয়। একদিনের জ্বালানি খরচ ২১ লাখ টাকা। আমাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নিয়মিত সেন্টমার্টিন রুটে যাতায়াত করছে। আমাদের বে ওয়ান জাপান, সিঙ্গাপুরসহ বিদেশেও যেতে পারবে। আরো তিন বছর চলতে পারবে। জাহাজের কন্ডিশনের ওপর চলাচল নির্ভর করে। ক্লাসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে চালাতে হবে। নতুন জাহাজের মতো কন্ডিশন আমাদের বে ওয়ানের।
সমুদ্রগামী পর্যটকবাহী জাহাজ বাড়ানোর ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন সরকার করে ১০ শতাংশ, বাকি ৯০ ভাগ বেসরকারি উদ্যোক্তারা করেন। সরকার সহায়তা করলে আমরা বে ওয়ানের ১০ গুণ বড় জাহাজ এনে হাজিদের আনা-নেয়া করতে পারব। আগে এক মাস লাগত হজে যেতে। এখন আট দিনে জেদ্দা পৌঁছানো সম্ভব। জাহাজে হাজিদের কষ্ট হবে না। বিমানের চেয়ে জাহাজে পরিসর বেশি। আমাদের সমুদ্রগামী পর্যটক জাহাজ বাড়লে পশ্চিমবঙ্গের অনেক পর্যটক আসবেন।
তিনি বলেন, এশিয়ার মধ্যে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স ড্রেজার নির্মাণে সেরা। আমরা ড্রাইডক নির্মাণ করছি চট্টগ্রাম ড্রাইডকের পাঁচ গুণ বড়। এক লাখ টনের জাহাজ মেরামত করতে পারব। তখন সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজ আসবে মেরামত করতে।
আমাদের শ্রমিকদের মজুরি কম হওয়ায় আমরা জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতে বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে কমে কাজ পাব। আমরা দুটি জেটি নির্মাণ করেছি, স্ক্র্যাপ জাহাজ ভিড়ছে। আরো দুটি কনটেইনার জেটি করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়