লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

অভিষেক টেস্টেই দুর্দান্ত আয়ার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি জার্সি গায়ে উঠেছে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। একই বছর ভারতের ওয়ানডে দলে খেলেছেন শ্রেয়াস আয়ার। মিডল অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেই পেয়েছেন অভিষেকের স্বাদ। আস্থার প্রতিদান দিয়ে শ্রেয়াস কানপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছেন ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে। এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ২৫৮ রান। আয়ারকে সঙ্গ দিয়ে ক্রিজের অন্যপ্রান্তে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম দিনেই স্বাগতিকদের ৩ উইকেট শিকার করেছেন কাইল জেমিসন।
সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ ঘরের মাঠে শোধ করল ভারত। গত ১৭, ১৯ ও ২১ নভেম্বর সিরিজের সব টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কিউদের হারিয়ে হোয়াটওয়াশের স্বাদ নিয়েছে বিরাট কোহলিরা। এদিকে এখনো টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেয়া বাকি। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে গতকাল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
শুরুটা স্বাগতিকরা করলেও সাফল্যটা প্রথমে পায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। দলের খাতায় ২১ রান যোগ হতেই ভারত শিবিরে আঘাত হানেন কাইল জেমিসন। ২৮ বলে ১৩ রান করে তার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে আরেক ওপেনার শুবমান গিল ঠিকই তুলে নেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। তার সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে তোলেন চেতেশ্বর পূজারা। তবে পূজারার সঙ্গে গিলকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি কিউই ফাস্ট বোলার জেমিসন। গিল ৯৩ বলে ৫২ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির মার ছিল। তার প্রস্থানের পর পূজারাকে ফেরান টিম সাউদি। ভারতের টেস্টে আস্থার প্রতীক এই ব্যাটসম্যান ৮৮ বলে ২৬ রান করেন। তার ইনিংসে ২টি বাউন্ডারির মার ছিল। এরপর ভারতের টেস্টের আরেক জাত ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানেও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ব্যাট হাতে ৩৫ রান তুলতেই জেমিসন তাকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরান। দলীয় ১৪৫ রানে চার টপ অর্ডারকে হারিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠেই চাপে পড়ে শচীন টেন্ডুলকারের উত্তরসূরিরা। তার ওপর দলে নেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতো অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
দিনের বাকি তখনো দেড় সেশন, ৪০ ওভারের বেশি। তবে দলের বাকি দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন শ্রেয়াস আয়ার। মাঠে নেমে তাকে সঙ্গ দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দুই কিউই ফাস্ট বোলার টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনের বিপক্ষে। সুযোগ দেননি তিন কিউই স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল, রাচিন রবীন্দ্র ও উইলিয়াম সমারভাইলকে। পাঁচ কিউই বোলার মিলে চাবিরতির আগে বা পরে কোনোভাবেই এই দুই ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে পারেননি। দিন শেষ হওয়ার আগে দুই ব্যাটসম্যানই তুলে নেন ফিফটি। টেস্ট ম্যাচে এটি জাদেজার ১৬তম অর্ধশতক রানের ইনিংস। তিনি ১০০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারির মার। টেস্ট অভিজ্ঞ জাদেজার এই সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ১০০ রানের। অর্থাৎ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান টেস্টে একটি সেঞ্চুরির মালিক। কানপুরে গতকাল যেভাবে তিনি ব্যাট করছেন, তাতে হয়তো এই ম্যাচে বা চলতি সিরিজেই তিনি পেয়ে যাবেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
এর আগে টপ অর্ডারে ভরাডুবির পর ভারত শিবিরের হাল ধরেন অভিষিক্ত আয়ার। তিনি দিনের শেষ পর্যন্ত ১৩৬ বল মোকাবেলা করে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির পাশাপাশি ছিল ২টি ওভার বাউন্ডারির মার। আজ প্রথম সেশনে ক্রিজে টিকে থাকতে পারলে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির মালিক বনে যাবেন শ্রেয়াস আয়ার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৪৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন কাইল জেমিসন। ৪৩ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট শিকার করেন আরেক কিউই ফাস্ট বোলার টিম সাউদি। তবে প্রথম দিন সাফল্যের দেখা পাননি স্পিনাররা। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করার জন্য জাদেজা, আয়ারের পরে এখনো মজুদ আছেন আরেক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। ব্যাট চালাতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।
ভারত ও নিউজিল্যান্ড এরই মধ্যে ৬০টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্য ভারতের ২১ জয়ের বিপরীতে ১৩টি জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে দুই দলের মধ্যে ড্রয়ের সংখ্যাই বেশি। ৬০ ম্যাচের মধ্যে ২৬ ম্যাচের ফলাফলই ছিল ড্র। ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের শেষ জয় গত জুলাইয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতকে সে ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাসের প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন ব্ল্যাক ক্যাপসরা। দুই দলের সর্বশেষ তিনবারের দেখায় সব ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা। তবে নিজেদের ঘরের মাঠে বেশ শক্তিশালী ভারত। ঘরের মাটিতে শেষ ছয়বারের দেখায় কিউদের বিপক্ষে সব ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। ভারতের মাটিতে ৩৪ বারের মধ্যে মাত্র ২ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল কিউইরা। ১৬ ম্যাচে ভারত জয় পেয়েছিল, বাকি ১৬ ম্যাচের ফলাফল ছিল ড্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়