লজিক প্রকল্প : রৌমারীতে সোলার পাম্প স্থাপন শুরু

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি : বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার ও মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হবে > ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে

পরের সংবাদ

অন্য কোথাও ফিরব বলে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কৃষ্ণবরণ মেঘে যে চারপাশ আচমকা এভাবে ঢেকে যাবে, তখন একদমই ভাবিনি। তখন মানে, যখন ঘর ছেড়ে বেরোই। কিংবা হয়তো ভেবেছিলাম। অবচেতনে ঝলমলে আকাশজুড়ে মেঘ নেমে এসেছিল। ভেতরে ভেতরে অন্ধকার অনুভব করেছিলাম ঠিকই, তবে বাইরের প্রকাশটা ছিল আলোময়। এমন তো প্রায় সময়ই হয়, হতে পারে। ভেতরের বোধের জাগরণ বাইরে থেকে দেখা যায় না, কিন্তু অনুভবটুকু কোথাও না কোথাও থেকে যায়। আর সেই অনুভবের কারণেই যে ছাতাটা সঙ্গে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলাম, এই মুহূর্তে তা আমি মোটামুটি নিশ্চিত।
কিন্তু, ঘর ছাড়ার কথা বলছি কেন? ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি, ছেড়ে তো নয়! এ তো আমার একলারই ঘর।
এই নির্জনতায় কিছুক্ষণ বসব, তারপর আবারও ফিরে যাব। যদি ইচ্ছে হয়, দীর্ঘ সময়ও বসে থাকতে পারি। আসলে সবকিছুই নির্ভর করছে মর্জির ওপর। তবে এখন ওই মেঘের কালো রঙও ভাবাচ্ছে। বাতাসও হঠাৎ করে এলোমেলো বইতে শুরু করল। নদীর ঢেউগুলোও চঞ্চল বালিকার মতো অস্থির। বুঝতে পারছি, আজ আর বসা হবে না, তবুও বসতে ইচ্ছে করছে। আসলে, প্রতিদিন এই সময়টায় নদীর পাশে এসে বসা, একটু হাঁটাহাঁটি, আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নেশাও বলা যায়। জায়গাটার নির্জনতা আর অপার সৌন্দর্যই মূলত নেশার কারণ। আরো একটা ব্যাপার আছে। মনে মনে আমি যেন কোনো কিছুর প্রতীক্ষায় থাকি।
কেন এবং কিসের জন্য সেই প্রতীক্ষা?
জানি না। এ জীবনে সেই প্রতীক্ষার অবসান হবে কিনা, তা-ও জানি না। হোক বা না হোক, বসি এখানে।
মেঘের গাঢ়ত্ব ক্রমে সূর্যকে একেবারে ঢেকে দিচ্ছে। আমার চোখের সামনেই নদীটি রূপ নিচ্ছে এক ভুতুড়ে পথহীন-দেশে। কিন্তু আমার ভয় করছে না। বাড়ি ফেরার ইচ্ছের বদলে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে ওই দেশে। ওই দেশ থেকে কেউ কি আসছে?
মনে তো হচ্ছে একটি নৌকা ভেসে আসছে। নৌকায় দুজন যাত্রী।
দেখতে দেখতে নৌকাটা একদম কাছে চলে এলো। তীরে ভিড়তেই যাত্রী দুজনকে নামিয়ে ওটা হারিয়ে গেল।
একজন যুবক আর একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ এসে আমার কাছে জানতে চাইল, ‘হঠাৎপাড়ার রাস্তাটা কোনদিকে, বলতে পারেন?’ না সূচক মাথা নাড়ালাম। হাত চারেক দূরত্ব রেখে ওরা আমার সমান্তরালে বসে পড়ল।
কিন্তু হঠাৎপাড়া নামটি কি আগে কখনো শুনেছি? নাহ্, মনে পড়ল না। এই এলাকায় বাস করছি বছরখানেক। কোনো পাড়ার নাম যদি থাকত, তাহলে নিশ্চয়ই কানে আসত।
মনে হয় নেই। অথবা আছে। যাক গে!
বালির ওপর পা ছড়িয়ে বসে ওরা নিজেদের মধ্যে নিচুস্বরে কিছু বলছে। আমার একটু অস্বস্তিই হচ্ছে। সুনসান এই নদীতীরে আমরা তিনজন ছাড়া জনমনিষ্যি নেই, তাই হয়তো। তাছাড়া আমি একলা মেয়েমানুষ। ওরা যদি গুণ্ডা-পাণ্ডা হয়! ভেতরে ভেতরে একটু যেন কেঁপে উঠলাম। পরমুহূর্তেই আবার হাসিও পেল। কারণ, নিজেকে আমি সাহসী মেয়ে বলে দাবি করি। আর এ দাবি করে আসছি গত ১০ বছর ধরে। তবে কেন যেন মনে হচ্ছে, ওরা নিরীহ। অন্তত পোশাক আর চোখ-মুখের অভিব্যক্তি দেখে তা-ই মনে হচ্ছে।
যেন কিছু ভাববার অবকাশ না পায়, এমনভাবে খুঁটিয়ে না হলেও ওদেরকে দেখেছি কয়েকবার। তবে চোখাচোখি হয়নি কারও সঙ্গেই। ওরা নিজেদের আলোচনাতেই ব্যস্ত। এত কাছে যে একজন মহিলা বসে আছে, তা নিয়ে ওদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না। আমিও আর ওদেরকে নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে মেঘের রূপ বদল দেখতে লাগলাম। ভীষণ অন্ধকার হয়ে আসছে চারপাশ। শিরশিরে বাতাসের শীতল অনুভব একরকম প্রশান্তি এনে দিচ্ছে। চোখ বুঁজে ফেললাম।
‘আপনার সঙ্গে পরিচিত হতে পারি?’ গম্ভীর অথচ আন্তরিক কণ্ঠস্বর। চোখ মেলে দেখি, মধ্যবয়সি ভদ্রলোক। গালভর্তি খোঁচা খোঁচা কাঁচাপাকা দাড়ি। নাকের নিচে বেশ পুরু গোঁফও আছে। আর আছে মাথাভর্তি রূপোলী ঝিলিকের ঝাঁকড়া চুলের বাহার। এ বয়সি কারো মাথায় এত চুল আমি আগে দেখিনি। হেসে বললাম,
‘আমি পিয়াল। আপনারা?’
‘আমি বাউল। আর ও আমার সঙ্গী বা বন্ধু, যা খুশি বলতে পারেন। নাম, মুন্না।’
নিজেদের নাম বলে ভদ্রলোক নির্বিবাদি একটা হাসি উপহার দিল। এত সরল হাসি খুব কম দেখা যায়। মুন্নার মুখেও সেই রকম হাসি।
মুগ্ধ হয়ে বললাম,
‘বাউল? এ কি সত্যিই আপনার নাম, নাকি স্বভাব? এমন নাম আগে কখনো শুনিনি।’
‘না না, সত্যিই আমার নাম বাউল। পিতৃপ্রদত্ত। অবশ্য কেন তিনি এ নাম রেখেছিলেন, তা জানি না। আসলে আমার মনে এই প্রশ্ন কখনো উদয় হয়নি। তবে, এ নামের কারণেই কিনা জানি না, মন আমার খানিকটা বাউল বাউল। দেখছেন না, কোন না কোন দূরের ভুবন থেকে হঠাৎপাড়ার খোঁজে চলে এসেছি?’
বলে হাসতে লাগল বাউল। আমারও হাসি পেয়ে গেল। বললাম,
‘কিন্তু এখানে তো হঠাৎপাড়া আছে বলে শুনিনি! আপনারা ঠিক জায়গায় এসেছেন তো?’
‘ঠিক না ভুল জানি না। এসেছি এটুকু জানি। আসতে হয়। কিংবা কখনো ফিরেও যেতে হয়।’
বলে এক আনমনা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল বাউল। বললাম,
‘না, ফিরে যেতে হয় না। ফেরাটা অপ্রয়োজনীয়, অনিরাপদও। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে পেছনের কোনো একটি বা একাধিক ছবি মুছে ফেলতে হয়।’
‘আপনি বড় কঠিন। এত কঠিন, সুন্দরের সঙ্গে বেমানান।’
বাউলের এ কথায় মনে মনে হাসি পেলেও চেপে গেলাম। জানতে চাইলাম,
‘মানে? কী বোঝাতে চাইছেন?’
‘মানে আপনি সুন্দরী। আর সুন্দরীরা সাধারণত কোমল হবে, আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি। অথচ আপনি কত সহজেই মুছে ফেলার কথা বললেন। হয়তো কোনো বেদনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আপনাকে। জানি না, তবে অনুমান তো করতে পারি, নাকি?’
‘হ্যাঁ তা পারেন। এবং আপনার অনুমান সত্যিও হতে পারে।’
বলে কেন যেন খিলখিল করে হেসে উঠলাম। এতক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে থাকা যুবক, যার নাম মুন্না, সে থতমত খেয়ে আমার দিকে তাকাল। তারপর কেমন যেন ঘোরের মধ্যে থেকে বলে উঠল,
‘আপনার এই হাসিটা ঠিক আমার বড় বোনের মতো। এরকম করে হাসার জন্য মা ওকে খুব বকত। বলত, ভালো মেয়েরা নাকি কখনো অমন করে হাসে না। আচ্ছা, ভালো মেয়েরা কেমন করে হাসে, আপনি জানেন?’
ওর প্রশ্নে থমকে গেলাম। তাই তো, ভালো মেয়ে কেমন করে হাসে? ভালো মেয়ের সংজ্ঞাই বা কী? শান্ত-ধীর নাকি চঞ্চল প্রকৃতির? চঞ্চল মেয়েদের অবশ্য সবাই ধিঙি বলে। ওদের কপালে নাকি ভালো ঘর-বর জোটে না। আমারও তো জোটেনি। শুধু একটি রাত, তারপর তো সেই রাতেই স্বামীগৃহ ত্যাগ। মা-বাবা, বিয়ে বাড়িতে হাজিরা দিতে আসা জনাকয়েক আত্মীয়, কারো বোধগম্যই হয়নি, এমন কী হয়েছে যে, এই রাতেই পালিয়ে আসতে হবে? কোনো মেয়ের এত সাহস হয় কী করে?
প্রশ্নটা আমারও। পরে বহুবার ভেবেছি, সেই রাতে, কেমন করে আমি ওরকম একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম! এতটা মনের জোর ছিল আমার? কই, সেই রাতের আগে একবারের জন্যও তো বুঝতে পারিনি! ভীষণ আদুরে একটি মেয়ে বিয়ের রাতে ঘুমন্ত স্বামীর মুখে আদুরে গলায় এক নারীর নাম শুনল। তারপর চরম সিদ্ধান্ত নিতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড ব্যয় করে বেরিয়ে পড়ল অন্ধকার পথে। এখনো ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয় বৈকি!
তবে না, কারো কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দিইনি। শুধু বলেছিলাম, আর ফিরে যাব না।
এতে অবশ্য বেশ রটনাই হয়েছিল। গোপন প্রেম-ট্রেমের গল্প ফেঁদেও প্রচার করত কেউ কেউ। পথে-ঘাটে দেখলে হাসি তামাশা তো ছিলই। আমরা ও-পাড়া ছেড়ে অন্য পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিলাম। নতুন পাড়াতেও মুখ টিপে হাসাহাসি চলতে চলতে সরকারি কলেজে মাস্টারির চাকরিটা হয়ে গেল। ব্যস, চাকরি করতে লেগে গেলাম! ধীরে ধীরে অনেকটাই তলিয়ে গেল ওসব। তবে এখনো আমার এই একা থাকা নিয়ে ফিসফাস হয়, বুঝতে পারি।
‘কী ব্যাপার, কোথায় হারালেন? অন্য ভুবনের বাসিন্দা তো আমি। আপনিও কি ওখানে চলে গেলেন নাকি?’
বাউলের কথায় একটানে বাস্তবে ফিরে বেশ একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম। ‘লজ্জা পেলেন মনে হচ্ছে! আপনাকে দেখে কিন্তু তেমন মনে হয় না।’ বলল বাউল।
‘কেমন মনে হয়?’
‘ভীষণ সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, রহস্যময়ী এবং দুঃখবিলাসীও।’
‘সাহসী আর আত্মবিশ্বাসী মেয়েরা বুঝি লজ্জা পায় না?’
‘না না, কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম অবশ্য নেই। লজ্জা পাওয়া ভালো। নিজেকে একটু রহস্যের আবরণে রাখাও মন্দ নয়। তবে, দুঃখবিলাসী হওয়া ঠিক নয়। হতে হবে রহস্যময় এবং প্রাণময়।’
‘আপনার মনে কোনো দুঃখ নেই?’ জানতে চাইলাম।
বাউল বলল, ‘না, নেই। যদি চান, মন খুলে দেখাতে পারি! দেখবেন?’
বললাম, ‘মন খুলে দেখানো যায়? কেন যেন কৌতূহল হচ্ছে। তবে, দেখতে চাই না।’
হঠাৎ গম্ভীর হয়ে বাউল বলল, ‘এত সহজে কৌতূহল দমন করতে পারেন আপনি? বাহ্!
কারো মন দেখার বোধহয় আপনার প্রয়োজনও নেই, তাই না? এমনকি নিজের মনটাও? কখনো কি ভেবে দেখেছেন, নিজেকে ভালোবাসেন কিনা? বোধহয় ভাবেননি। ভাবলে…’
ওর এসব প্রশ্নে কি বিহ্বল হয়ে পড়লাম? একদম না। মনের ভেতর একটু খুতখুত করছে এই যা।
গত ১০ বছরে একবারও তো কারো প্রশ্নের উত্তর দিইনি! তাহলে এখন কেন বিহ্বল হয়ে পড়ব?
কে এই বাউল? সে একেবারেই অচেনা একজন। এই কিছুক্ষণ আগেও তো তাকে এবং তার সঙ্গীকে আমি চিনতাম-ই না। এসব প্রশ্ন সে করছেই বা কেন? অচেনা মানুষের তো এসব প্রশ্ন করার অধিকার থাকতেই পারে না। আর আমিও কেমন, এতক্ষণ একজন অচেনা মানুষের সঙ্গে বসে বসে গল্প করছি!
নিজেকে মনে মনে তিরস্কার করতে করতে লক্ষ্য করলাম, আমাদের মাঝে যে চার হাতের দূরত্বটুকু ছিল, তা নেই।
মেঘ যেমন ছিল, তারচেয়েও গাঢ়। বাতাস কখন যে থমকে গেছে, তা খেয়াল করিনি। হঠাৎ গুমোট মনে হলো চারপাশ। ভ্রমরকালো মেঘেরা নিবিড়ভাবে গ্রাস করে ফেলছে পুরো নদীটাকেই। মনে পড়ল, ঘরে ফিরতে হবে। উঠে দাঁড়ালাম। বাউল আর মুন্নাও উঠে দাঁড়িয়েছে। বাউল বলল, ‘ফিরবেন?’ বলে হাত বাড়িয়ে দিল।
অবাক হলাম। কেন যেন চমকেও উঠলাম। এভাবে কেউ কখনো জানতে চায়নি তো! কেউ কখনো ডাকেওনি। যে গাম্ভীর্যের আবরণে নিজেকে মুড়ে রেখেছি, তা ভেদ করার সাহস-ই বোধকরি কেউ কখনো পায়নি।
বাউল আবারও বলল, ‘কই, ফিরবেন না?’
কণ্ঠে কেমন এক অদ্ভুত আহ্বান। বলার ভঙ্গিতে কী যেন আছে! আমি শিউরে উঠলাম। জানি না কেন, ওই আহ্বানে সাড়া দিতে ইচ্ছে করছে। বাড়ানো হাত ধরে কোথাও না কোথাও ফিরতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু কোথায়?
বাউল আর মুন্না নদীর দিকে হাঁটছে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওদেরকে অনুসরণ করে এগোতে এগোতে দেখলাম সেই নৌকাটা কখন যেন ফিরে এসেছে। ওরা দুজন উঠে পড়ল নৌকায়। আমি থমকে দাঁড়ালাম খানিক দূরেই। থেমে যাওয়া বাতাস আবারও ফিরে এলো। মাঝি দাঁড় হাতে বসে আছে। হয়তো আমারই অপেক্ষায়! বাউল আর মুন্না নৌকায় দাঁড়িয়ে। বাতাস হঠাৎ করেই এত জোরালো হলো যেন কোনো তাণ্ডবের পূর্বাভাস। আর এই পূর্বাভাসে বাউলের মাথার চুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিধ্বস্তপ্রায়। দূর থেকে ওই চুলগুলোকে মনে হলো, ঈশ্বরের হাতের অগুনতি আঙুল। কিন্তু আঙুলগুলো ঠিক কী নির্দেশ করবে, তা-ই যেন বুঝতে পারছে না। বুঝতে না পেরে ওগুলো নড়ে চলেছে উদ্দেশ্যহীনভাবে। আর ওই আঙুল মাথায় নিয়ে বাউল নামের লোকটি হাত বাড়িয়ে আছে কোনো এক অনন্তের উদ্দেশ্যে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়