বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

সিলেট আওয়ামী লীগ : বিদ্রোহ দমনে ১৬ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্রা ছাড়িয়েছে সিলেট আওয়ামী লীগে। তাই বিদ্রোহ দমন ও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ। দুই দফায় অন্তত ১৬ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি না থাকায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একতরফা জয় লাভই ছিল অনুমেয়। কিন্তু ঘরের ভেতরেই বড় বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে দলটিকে। ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিদ্রোহীর সংখ্যা কম থাকলেও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থীর মুখোমুখি হতে হয়েছে দলীয় প্রার্থীকে। আর এ কারণে সিলেটে এক রকম ভরাডুবি হয়েছে নৌকার প্রার্থীদের। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সে সংখ্যা আরো বেড়েছে। এমন অবস্থায় কঠোর অবস্থান নেয় জেলা আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় দফার ভোট শেষে ৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল বুধবার আরো ১০ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বিদ্রোহী হওয়ার অপরাধে এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
তারা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার ১১ উপধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলে নিজ নিজ পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ১০ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে দক্ষিণ সুরমার পাঁচজন, জৈন্তাপুরের একজন ও গোয়াইনঘাটের চারজন রয়েছেন। এসব নেতা আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বহিষ্কৃতরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ নেছারুল হক বুস্তান, মোগলাবাজার ইউনিয়নে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, একই ইউনিয়নে আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী শামিনুল হক শেবুল, সিলাম ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবুর রহমান, দাউদপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম আলম। গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, ফতেহপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক, ডৌবাড়ি ইউনিয়নে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও লেঙ্গুরা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেল। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুর রশিদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন বলেন, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ রয়েছে। তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিদ্রোহীদের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সুতরাং তাদের দলে থাকার আর কোনো অধিকার নেই। তিনি আরো বলেন, তৃণমূলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি ইউনিয়নের জনপ্রিয় প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতে কাজ করে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু কিছু কিছু নেতা সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী হয়েছেন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ইন্ধনদাতাদেরও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়