বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ : দুই কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি রাজস্বের ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুই কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (সাবটিম-১২ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রশাসন শাখা) নাছির উদ্দিন মাহমুদ খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও মামলার আসামি করা হয়েছে- নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক আব্দুল মান্নান চৌধুরীকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য জাল কাগজপত্র তৈরি ও ব্যবহার করে চীন থেকে আনা একটি চালানের এসএস কোড বদলে মালামাল খালাস করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। এই কাজের মাধ্যমে নিজেরা লাভবান ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। মামলার বাদী ও দুদক কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে দুই কাস্টমস কর্মকর্তা ও দুই সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তকালে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম পোস্ট অফিস থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৫০ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গতকাল সকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- রফিকুল ইসলাম, শামীম (৫৬) ও তার ছেলে ওয়াহিদুল আলম (৩৪), আহমেদ নূর (৩৫) ও তার স্ত্রী মশহুদা বেগমকে (২৪)। এছাড়া তসলিমা বেগম নার্গিস নামে আরো একজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জিপিওর অজ্ঞাত কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল কাগজ তৈরি করে বিভিন্ন হিসেবে ভুয়া টাকা জমা দেখিয়ে সরকারি ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৫০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়