বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

সময় বেঁধে দিল সাভার পৌর কর্তৃপক্ষ : সুপার মেডিকেল হসপিটালের ভবন তৈরিতে অনিয়ম

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আজিম উদ্দিন, সাভার (ঢাকা) থেকে : দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে সাভার পৌর কর্তৃপক্ষের। সাভার সুপার মেডিকেল হাসপাতালের ভবন তৈরির অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে পৌর কর্তৃপক্ষ। তদন্তে বেড়িয়ে আসে নকশার সঙ্গে ভবনের গরমিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে গতকাল বুধবার শুনানি হয় পৌরসভায়। শুনানি শেষে সুপার মেডিকেল হাসপাতালকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবনের কার্য সম্পাদন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকার সাভারে অধিকাংশ বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেই রাজউকের বিধিমালা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে বাড়ি নির্মাণের সময় আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান ছাড়ছেন না অধিকাংশ বাড়ির মালিক। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার চেয়ে পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করলেও এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগেরই সুরাহা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগকারীরা উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সাভার পৌর এলাকার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ৩নং ওয়ার্ডের বি-১১৯/৩ জালেশ্বর হোল্ডিং-এ ১৩ শতাংশ জমিতে একটি ৭ তলা ভবনের উপর আবার একটি টিনশেড নির্মাণ করছেন সেলিম রেজা। ভবনটি সুপার মেডিকেল এন্ড হাসপাতাল নামে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিধি না মেনে ভবন তৈরির বিষয়ে সুপার ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সাভার পৌরসভায় লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দেন একাধিক ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে পৌরসভার কাছে তথ্য চাওয়া হলে পৌরসভা থেকে সুপার ক্লিনিকের ভবনটির যে তথ্য ও নকশা সরবরাহ করা হয়েছে তাতে ভবন তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। এছাড়া পৌরসভার পরিদর্শন টিম ভবনটি পরিদর্শন করে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছেন। পরে ভবন মালিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পৌরসভায় উপস্থিত থাকার চিঠি দেন পৌর কর্তৃপক্ষ। বুধবার সাভার পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইমামের কক্ষে সুপার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ উপস্থিত হলে অভিযোগ নিরসন সেলের সভাপতি কাউন্সিলর মো. নজরুল ইসলাম পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, পরিদর্শন টিমের প্রতিবেদন দেখে ও পুনরায় ভবনটি তিনিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যরা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া ভবন মালিককে এক মাসের মধ্যে ফায়ার সেপ্টির কাগজপত্র দাখিল ও এক্সিট গেট খোলা রাখা ও অবৈধভাবে তৈরি বেইজমেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন। এ সময় ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদ, ৮নং সেলিম মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পৌরসভা থেকে দেয়া অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবনের চারপাশ আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান ছাড়া হয়নি। নকশায় ভবনটির নিচ তলায় গাড়ি পাকিং থাকলেও সেখানে পাকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। গাড়ি পাকিংয়ের স্থানে ফামের্সি ও ইমাজেন্সি বিভাগ করা হয়েছে। ভবনটির গুরুত্বপূর্ণ ফটক তালাবদ্ধ করে রেখে সেখানে জেনারেটর বসানো হয়েছে। এক পাশের নিচ তলার ফ্লোর কেটে বেইজমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, যা ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইমাম বলেন, সুপার মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আবারো নোটিস করা হবে।
এর মধ্যে যেসব অসঙ্গতি পাওয়া গেছে তা সমাধান না করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়