রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে হামলাকারীরা ১২টি বসতবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়। দুই দফা হামলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। মঙ্গলবার রাতে ও গতকাল সকালে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের গাউছবাড়ি এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ বছরের গত ১১ নভেম্বর ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে বিল্লাল হোসেনকে পরাজিত করে বিজয়ী হন মোখলেসুর রহমান। বিজয়ী মেম্বার মোখলেছুর রহমানসহ তার নিয়োজিত হারুন মিয়া, রমজান মিয়া, মামুন মিয়া, নুরুজ্জামান, শামসুজ্জামান, নইম মিয়া, মানিক, বাচ্চু, শাহজালাল ও রাব্বিসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জন রামদা চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী বিল্লাল হোসেনের সমর্থকদের ১০টি বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা মনির কাজি, সালামের বাড়ি, নাইম, গাফ্ফার, দেলোয়ার, রমজান, লোকমান, মান্নান, এমারত, সুজন ও সাত্তারের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে।
হামলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী মুক্তি আক্তার, মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার ও সালাম, চান মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া, নাইমের স্ত্রী সাবিনা, মনির কাজির ছেলে তানজিল, সাত্তারের ছেলে রিফাত, তানজিল কাজির স্ত্রী নুরনেছা, তানজিলের ৯ মাসের ছেলে তাওহীদ, এমরতের ছেলে শামীম ও সানি, আমজাদ আলীর ছেলে তানিছ, সালাম মিয়ার ছেলে রাকিবুল হাসান, নাইম মিয়ার মেয়ে নাহিদা আক্তার ও ছেলে লিয়ন মিয়া, মৃত হেকিমের ছেলে চান মিয়া, দেলোয়ার মিয়ার ছেলে ইয়াসিন, সাত্তার মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম আহত হন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বার নাসির উদ্দিনের সমর্থকরা পরাজিত মেম্বার প্রার্থী শাহিন দেওয়ানকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাতে শাহিন দেওয়ানের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী শাহিন দেওয়ান। তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন নাসির উদ্দিন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।