বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজারে ফের বড় দরপতন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগের টানা তিন দিনে সূচক যতটা পড়েছিল, চতুর্থ দিন গতকাল বুধবার এক দিনেই সূচক পড়ল তার চেয়ে বেশি। ৯৫ পয়েন্ট পতনে সূচক নেমে গেল ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে। দিন শেষে বেড়েছে কেবল ৭৫টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ২৫৯টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩১টি। টানা তিন দিন দরপতনের পর পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে তো পারলই না, উল্টো বড় দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক আরো ভাবিয়ে তুলছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজার টেনে তোলা ব্যাংক খাতে ঢালাও পতনের দিন এমন কোনো খাত ছিল না, যা নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকা যায়। বিমা, আর্থিক, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন খাতেও দেখা দিয়েছে প্রায় একই ধরনের চিত্র। আগের টানা তিন দিনে সূচক যতটা পড়েছিল, চতুর্থ দিন বুধবার এক দিনেই সূচক পড়ল তার চেয়ে বেশি। ৯৫ পয়েন্ট পতনে সূচক নেমে গেলে সাত হাজার পয়েন্টের নিচে। দিন শেষে বেড়েছে কেবল ৭৫টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ২৫৯টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩১টির দর। দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে, যা গত ১০ নভেম্বরের পর সর্বনি¤œ অবস্থান। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি), লাফার্জ হোলসিম, রবির মতো কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরপতন সূচক পতন ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ১.১৪ শতাংশ পতনের কারণে সূচকের পতন হয়েছে ৭.৬৩ শতাংশ। স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দর ১.৭০ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ৬.৫২ শতাংশ। সূচক পতনের পেছনে যে দশটি কোম্পানির সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল তার মধ্যে ব্যাংক খাতের ছিল ৪টি। এই ৪টি ব্যাংকের শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে ১১.০৫ শতাংশ। গত কয়েক দিনে শেয়ারদর ব্যাপকভাবে বাড়লেও সূচক পতনের প্রধান ভূমিকায় ছিল এই খাতটি। পাশাপাশি যেসব কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়ে সূচক উত্থানে প্রচেষ্টায় ছিল তার মধ্যে প্রথমে ছিল গ্রামীণফোন, যার শেয়ার দর দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি সূচকে উত্থান হতে ২.৩৫ শতাংশ চেষ্টায় ছিল। লেনদেনে খাতভিত্তিক বিবেচনায় দর বৃদ্ধিতে এগিয়েছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্যাংক খাত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, এক দিনেই তা পরিণত হয়েছে হতাশায়। তালিকাভুক্ত ৩২টি ব্যাংকেরই শেয়ার দর এক দিনে কমেনি।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওয়ান ব্যাংক। যার মোট ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪ হাজার ৮০০টি শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। লেনদেনে এগিয়ে থাকলেও এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে দশমিক ২ শতাংশ। শেয়ার দর ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। তারপরই ছিল বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড, যার লেনদেন হয়েছে ১০৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬১ লাখ ৭ হাজার ১১৬টি। ব্যাংক খাতের আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬১টি। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৫টি।
বিমা খাতের ডেন্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৭১ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৬টি শেয়ার। প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ১৩৩টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৬২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৫৩টি শেয়ার। এদিন ব্যাংক খাতের এনআরবিসি ও ফরচুর সুজ ছিল লেনদেনে শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়