বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেয়ায় চাল পায়নি ২শ পরিবার!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম নাহিদ, ভোলা থকে : নৌকায় ভোট দেয়ায় পাঁচ মাস পর্যন্ত ভিজিডি প্রকল্পের চাল পায়নি দুই শতাধিক পরিবার। চেয়ারম্যান, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহীর স্বাক্ষর ছাড়া ভুয়া কার্ডের মাস্টাররোল দেখিয়ে ৩০ হাজার কেজি চাল নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভোলার মনপুরা উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো চর ফৈজুদ্দিনের প্রধান সড়কে মানববন্ধন করে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে প্রতি দুই বছর অন্তর দুস্থ ও অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে মাসিক ৩০ কেজি হারে বিনামূল্যে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ ও ২০২২ চক্র (পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী) মনপুরা উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়নের প্রায় ৮০৮টি পরিবারকে ভিজিডি কার্ডের আওতায় আনা হয়। জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৫ মাসের চাল ওইসব কার্ডধারী পরিবারগুলোর মাঝে বণ্টন করা হয়। অথচ ইউনিয়নটিতে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্বভ নেয়ার পর অধিকাংশ চাল পেলেও বঞ্চিত রয়েছে কার্ডধারী দুই শতাধিক পরিবার।
ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দাসেরহাট গ্রামের বাসিন্দা সাহেদ আলীর স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান দিপক চৌধুরীর সময়ে আমাদের পরিবারকে একটি ভিজিডি কার্ড দেয়া হয়। ওই কার্ডে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ঠিকভাবেই আমরা চাল পেয়েছি। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান আসার পর থেকে আমরা প্রায় ৬ মাসের চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ১নং ওয়ার্ডের সোনার চর গ্রামের বাসিন্দা ইমাম হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার বলেন, আমাদের কার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউএনওর স্বাক্ষর রয়েছে। এই কার্ডে কোনো ধরনের ত্রæটি নেই। আগের চেয়ারম্যান এই কার্ডে পাঁচ মাসের চালও দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান এই কার্ড ভুয়া বলে আমাদের টানা ৬ মাসের চাল না দিয়ে উল্টো আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন সচিব ইয়াজউদ্দিন। অভিযুক্ত ইউপি সচিব মো. ইয়াজ উদ্দিন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের কথার বাইরে আমি কিছু করিনি। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান আমাকে কার্ড রাখার নির্দেশ দেয়ায় আমি তাদের কার্ড জমা দিতে বলেছি। এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত চেয়াম্যান মো. নিজাম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা সাবেক মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। অধিকাংশ কার্ডের নামের সঙ্গে অনলাইন তালিকায় গরমিল থাকার কারণে ওই সব কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়