কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি লোক মৃগীরোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৮ দশমিক ৪ জন মৃগীরোগী। সেই হিসাবে এ দেশে প্রায় পৌনে ১৪ লাখ মৃগীরোগী আছে। শতকরা প্রায় ৮০ জন মৃগীরোগী উন্নয়নশীল, দরিদ্র, মধ্যম আয়ের অথবা স্বল্প বিশেষজ্ঞ সম্পন্ন দেশে বিদ্যমান। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিলে ৭০ ভাগ মৃগীরোগী ভালো থাকে।
মৃগীরোগীদের সঠিক চিকিৎসার জন্য মৃগীরোগ চিকিৎসার গাইড লাইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। গতকাল বুধবার সকালে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট, বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট, বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ কোরাইশী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর নিউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মৃগীরোগের চিকিৎসায় দেশে আধুনিক মানের ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। মৃগীরোগ নিয়ে এক সময় ভুল ধারণা ছিল। বলা হতো ভুতে ধরেছে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। গর্ভবতী মা যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা প্রসবের সময় মায়ের অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় তবে নবজাতকের মাঝে বা শিশুর মাঝে মৃগীরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মন্ত্রী তার বক্তব্যে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ মৃগীরোগীদের সহানুভূতির সঙ্গে চিকিৎসাসেবা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মৃগীরোগ বিষয়ে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ এই রোগের চিকিৎসার বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগ, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, ইপনা মৃগীরোগীদের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।