বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : বিএনপির জিকির তোলার কারণ রাজনীতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি না করার জন্য বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে অসুস্থ রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় বিএনপি। এতে করে তাকে অসম্মান করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, অতীতেও আমরা দেখেছি, খালেদা জিয়া যখন অসুস্থ হয়েছেন তারা দাবি তুলেছে, তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। হাঁটুতে ও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। কিছু হলেই বিদেশ পাঠাতে হবে- এই জিকির তোলার কারণ কী? কারণটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরামের নতুন পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন, এটি কে বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কোনো চিকিৎসক এখনো বলেননি খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। বিএনপির নেতারা চিকিৎসক হয়ে গেছেন? এখন বিএনপি নেতাদের প্রেসক্রিপশনে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কিনা সেটিও এখন প্রশ্ন? তিনি বলেন, তারা খালেদা জিয়াকে পাঠাতে চান লন্ডনে যেখানে তারেক জিয়া আছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও খালেদা জিয়া যাতে সেখান থেকে আবারো রাজনীতি করতে পারেন। তারেক রহমানও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়ে সেখান থেকে রাজনীতি করছেন। আসলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার যাতে সঠিক চিকিৎসা হয় সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা দিতে বদ্ধপরিকর। যে কোনো ব্যবস্থা দেশের অভ্যন্তরেই নিতে চায় সরকার। দেশের অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তারা কী বলেছেন। তারা কি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতে? তিনি বলেন, বিএনপি শুধু নানা কথাবার্তা বলছেন। তারা আবার পদ রক্ষা করতে সভা-সেমিনার করছেন ও অনশন করছেন। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।
কারাগারে সাঈদীকে আপ্যায়নের মানে হয় না : এদিকে গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো কুখ্যাত রাজাকারের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার কোনো মানে হয় না। তিনি বলেন, সাঈদীর আরো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে, রিভিউ হতে পারে। আমি বলতে চাই, বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার অনুভূতির কথা বলব। আমি সরকার বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বলছি না। এই সাঈদীর বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাকে এভাবে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে, ভরণপোষণ দিয়ে, আদর-আপ্যায়ন করার মানেটা কী? এই জিনিসটাকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।
বিচারের মাধ্যমে সাঈদী জেলে আছেন। বিচার কি ঠিক হয়নি, তাহলে কীভাবে চ্যালেঞ্জ করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ না। আমি বলছি, তার যে অপরাধ সে অপরাধের মাত্রাটা মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের, সাধারণ মানুষ যারা দেশপ্রেমিক নিরীহ মানুষ তাদের এই বিষয়টা খুব কষ্ট দেয়।
কঠোর শাস্তি বলতে কি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চান? রিভিউ চাচ্ছেন? জানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা হতে পারে। আইনমন্ত্রী এর সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলছি এজন্য যে, আসলে ইস্যুটা আমাদের জন্য একটা পীড়াদায়ক। আমি কোনো চ্যালেঞ্জ বা কোনো কিছু নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি। আমি বলতে চাচ্ছি, ইস্যুটা একটা পীড়াদায়ক ইস্যু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়