বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

গল টেস্টে জয়ের পথে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে আজ জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ২৯৬ রান। এর আগে চতুর্থ দিন শেষে ৫২ রান তুলতেই ৬ উইকেট শেষ ক্যারিবীয়দের। সফরকারীদের একাই ধসে দিয়েছেন রামেশ মেন্ডিস। তিনি ১৭ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের স্মৃতি নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে গলেও একই পরিণিতি ক্যারিবীয়দের। শ্রীলঙ্কার ৩৮৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৩০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানরা অবশ্য ১৯১ রান করেই ইনিংস ঘোষণা করে নেন। তাতেই ৩৪৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে।
প্রথম ইনিংসে ২৩০ রান করা ক্যারিবীয়দের জন্য ৩৪৮ রান সাধ্যের বাইরে হওয়ার কথাই। কারণ টেস্টের শেষ দিন ব্যাট চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তার আগে চতুর্থ দিনেই যেন আত্মসমর্থন করে বসল সফরকারীরা। দলের খাতায় ৩ রান যোগ হতেই সাজঘরের পথ ধরেন ক্রেইগ ব্যাথওয়েট। ১৪ বল খেললেও তিনি খুলতে পারেননি রানের খাতা। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রামেশ মেন্ডিস। দলের খাতায় ১১ রান যোগ হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন আরেক ক্যারিবীয় ওপেনার জার্মেইন ব্লাকউড। তিনি ১৮ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলেন। তাকে সাজঘরের পথ ধরান আরেক লঙ্কান স্পিনার লাসিথ এলবুলদেনিয়া। তারপর ক্রিজে আসতে না আসতেই শাই হোপকে মাঠ ছাড়া করলেন মেন্ডিস। ৯ বলে ৩ রান করে তিনি বোল্ড আউটের শিকার হন। টেস্টে সচরাচর পঞ্চম দিনে যে চিত্র দেখা যায়, গলে টেস্টে সেটা যেন চতুর্থ দিনেই হয়ে যাচ্ছিল। স্পিন খেলতে পারছিল না ব্যাটসম্যানরা। এরপর ক্রিজে এসে ১ রান তুলে নেন রস্টন চেজ। নিজে স্পিন বোলার, তাই ঘূর্ণিটাও তার ভালো বোঝার কথা। কিন্তু তাকে আর বুঝে ওঠার সময় দিলেন কই এমবুলদেনিয়া। রস্টনকে বোল্ড করে সরাসরি সাজঘরের পথ দেখান এই লঙ্কান স্পিনার। গলেতে দিনের বাকি অংশটায় ঘূর্ণির ঝলক দেখিয়েছেন রামেশ মেন্ডিস। ৫ বলে ২ রান করা কাইল মায়ের্সকে ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। পরের বলেই শূন্য হাতে মাঠ ছাড়েন জেসন হোল্ডার। দুইটি উইকেটই শিকার করেন মেন্ডিস। মাত্র ১৮ রান তুলতেই নেই ক্যারিবীয়দের ৬ উইকেট। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল গতকালই শেষ হয়ে যাবে সফরকারীদের ইনিংস। সে সময় দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান এনক্রুমা বোনার ও জশুয়া ডি সিলভা। দিনের বাকি ৭৯ বল দেখেশুনে খেলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দলকে পঞ্চাশ পার করে নিয়ে যান ৫২ রানের ঘরে। চতুর্থ দিন শেষে এনক্রুমা ৪৭ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। অন্যপ্রান্তে জশুয়া ডি সিলভা অপরাজিত আছেন ৫২ বলে ১৫ রান করে।
শেষ দিনে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৯৬ রান। তবে হাতে উইকেট আছে মাত্র ৪টি। গতকালের দিনটা এনক্রমা ও ডি সিলভা পার করলে শেষ দিনের পিচ আরো কঠিন হয়ে উঠবে। তার ওপর স্বাগতিকদের ঘূর্ণি কতক্ষণ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেটাই এখন দেখায় বিষয়।
এর আগে ২২৪ রানে তৃতীয় দিন শেষ করা সফরকারীরা চতুর্থ দিনে এসে ৬ রান করতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে ৩৮৬ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেয়া দিমুথ করুনারতেœর ব্যাট দ্বিতীয় দিনেও জ¦লে ওঠে। তবে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। তাদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রাকিম কর্নওয়াল। তার ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন পাথুম নিসাঙ্কা। তার ব্যাটে আসে ১১ বলে ৩ রান। স্বাগতিকদের শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন জমেল ওয়ারিকেন। তার শিকার হয়ে ৩২ বলে ১৪ রান করে মাঠে ছাড়েন ওশাদা ফার্নান্দো। ৩৯ রানে দুই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে ১৬২ রানে। ১২৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন করুনারতেœ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দুই ব্যাটসম্যান তুলে নেন ফিফটি। তাদের জুটি ভেঙ্গে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন ক্যারিবীয়রা। ততক্ষণে করুনারতেœর ব্যাটে এসে গেছে ৮৩ রানের ইনিংস। ১০৪ বল খেলে এই রান করতে তিনি ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান। তাকে সাজঘরের পথ ধরান রাকিম কর্নওয়াল। এর আগে প্রথম ইনিংসে তিনি ৩০০ বলে ১৪৭ রানের ইনিংস খেলেন। ম্যাচের দুই ইনিংসেই লঙ্কানদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক দিমুথ করুনারতেœ। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে সাজঘরে ফেরান ওয়ারিকেন। তবে ম্যাথিউস ক্রিজে ছিলেন টিকে। তিনি ৮৪ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তাকে শেষ দিকে সঙ্গ দেয়া দিনেশ চান্দিমাল অপরাজিত ছিলেন ৮ বলে ১০ রান করে। ১৯১ রান দলের খাতায় যোগ হতেই অধিনায়ক করুনারতেœ ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়