বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার : বড়াইগ্রামে পানির নিচে ২শ একর ফসলি জমি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি : বড়াইগ্রামের সরিসাহাটে (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) বিএডিসির খনন করা খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বিলের পানি নামতে না পারায় প্রায় ২০০ একর (৬শ বিঘা) জমিতে চলতি রবি মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারছেন না চাষিরা। এদিকে, খালে মাছ ধরতে না দেয়ায় স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে খালটি খননের প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার সরিষাহাট সিঙ্গার বিলের মাঝখান দিয়ে একটি খাল রয়েছে। পলি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর যাবৎ বিলে জলাবদ্ধতার কারণে কোন আবাদ হচ্ছিল না। তাই জলাবদ্ধতা দূর করতে কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালটি পুন:খনন করা হয়। কিন্তু মাস খানেক আগে সরিষাহাট গ্রামের ঈমান আলী ও বাবু খালটিতে বালুর বস্তা, বাঁশের চাটাই, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখে। এভাবে পানি আটকে রেখে বিল থেকে আসা দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করে বিক্রি করছেন তারা। অথচ বিলের পানি নামতে না পারায় প্রায় ৬শ বিঘা জমি চলতি শুষ্ক মৌসুমেও এক হাঁটু পানির নীচে। দ্রুত বাঁধটি অপসারণ করা না হলে এসব জমিতে এ মৌসুমেও চাষাবাদ না হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। অপরদিকে স্থানীয় মৎস্যজীবিসহ গ্রামের লোকদেরও খালে মাছ ধরতে দেয় না চক্রটি। এতে বিশেষ করে মৎস্যজীবিরা তাদের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
এ ব্যাপারে সরিষাহাট গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিলে আমার পাঁচ বিঘা জমি আছে। সরকারিভাবে খালটি খনন করায় খুব আশা করেছিলাম চলতি বছর আবাদ করতে পারবো। কিন্তু কয়েকজন মানুষ খালে বাঁধ দেয়ায় জমিতে এখনও পানি জমে রয়েছে। আবাদ করবো কিভাবে।
অপর কৃষক সাইদুল সরকার জানান, যদি খালে বাঁধ দিয়ে ২-৪ জন মানুষ মাছই ধরবে, তাহলে খাল খনন করে সরকারি টাকা নষ্ট করার কি দরকার ছিল। মৎস্যজীবী সাবের হোসেন বলেন, তারা মৎস্যজীবীও না, আবার খাল লিজও নেয়নি-অথচ দেদারছে মাছ মেরে খাচ্ছে। অথচ তাদের হুমকির কারণে আমরা খালে মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এ ব্যাপারে খালে বাঁধ দেয়া ঈমান আলীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে খালে বাঁধ দেয়ায় বিলের শত শত বিঘা জমিতে আবাদ হচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মারিয়াম খাতুন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়