বন্ডে অনুমোদন দিল বিএসইসি

আগের সংবাদ

ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল সড়ক : ২০১৮ সালের আন্দোলনের রেশ > ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের আল্টিমেটাম

পরের সংবাদ

কোভিড বাড়ায় নতুন লকডাউন মানতে নারাজ মানুষ : সহসাই সহিংস ইউরোপ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মাত্র কয়েক মাস আগেও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তির বাতাস অনুভব করছিল ইউরোপ। কিন্তু গত কিছুদিনে বদলাতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে সরকার ও জনগণ। হু হু করে সংক্রমণ বাড়ায় সরকার বাধ্য হচ্ছে নতুন বিধিনিষেধ জারি করতে। কিন্তু মানুষ আর মেনে নিতে রাজি নয় নতুন এই লকডাউন, ঘরবন্দি দশা। অতএব বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে তারা। রীতিমতো দাঙ্গার ঘটনা ঘটে গেছে কয়েকটি বড় বড় শহরে।
বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর করেছে। গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পুলিশের দিকে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মেরেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মাঠে নেমেছে। কাদানে গ্যাস, জল-কামান ব্যবহার করেছে; ইউরোপে যেটি বিরল। গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ। সবচেয়ে বড় সহিংসতা ঘটে নেদারল্যান্ডসে। সেদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে দাঙ্গা পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর-পেট্রোল বোমা ছুড়েছে। রাস্তায় গাড়ি জ¦ালিয়ে দিয়েছে। পুলিশকে লাঠি, জল-কামান, কাদানে গ্যাস ছাড়াও ঘোড়া এবং কুকুরের সাহায্য নিতে হয়েছে। এমনকি ফাঁকা গুলিও ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ক্ষুব্ধ হয়ে এ বিক্ষোভকে প্রতিবাদ না বলে আখ্যা দিয়েছেন নেহায়েত ‘সহিংসতা’ হিসেবে।
প্রতিবেশী বেলজিয়ামও ফুঁসে ওঠে বিক্ষোভে। মানুষজন পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানেও কাদানে গ্যাস আর জল-কামান ব্যবহার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ৪০ হাজার মানুষ মিছিল করে। কট্টর ডানপন্থি দল ফ্রিডম পার্টি এই বিক্ষোভ আয়োজন করে। মূল কথা, লকডাউন মানতে নারাজ মানুষ। নেদারল্যান্ডসে তিন সপ্তাহের আংশিক লকডাউন চলছে। রেস্তোরাঁ ও পানশালা সন্ধ্যের পরপরই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেলজিয়ামে ফেস মাস্ক পরা, রেস্তোরাঁয় কোভিড ভ্যাকসিনের পাস দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জার্মানি, চেক রিপাবলিক, গ্রিসসহ ইউরোপের অনেক দেশেই চলছে এ জাতীয় বিধিনিষেধ।
তবে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি চলছে অস্ট্রিয়ায়। জরুরি কাজ ছাড়া সেখানে ঘরের বাইরে বের হওয়াই বারণ। দেশটিতে সবার জন্য ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশটির চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শালেনবার্গ বলেছেন, টিকা নিতে অনীহার কারণে এই আইন জরুরি হয়ে পড়েছে। ভ্যাকসিনবিরোধী প্রচারণা এবং ভুয়া খবরে বিশ্বাস করে আমাদের মধ্যে অনেকে এখনো ভ্যাকসিন নেননি। এর ফলে চাপ তৈরি হচ্ছে হাসপাতালের ওপর। যদিও বিশ্বের বহু অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপে ভ্যাকসিন নেয়া মানুষের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি, তারপরও গত কয়েক সপ্তাহে এ অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসে এক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়ছে চার গুণ হারে। অস্ট্রিয়াতে পাঁচ গুণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, জরুরি ব্যবস্থা না নিলে মার্চ মাস নাগাদ আরো ৫ লাখ লোক মারা যাবে ইউরোপে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে একটাই ভরসার কথা যে, সংক্রমণ দ্রুত বাড়লেও মৃত্যু তেমন বাড়ছে না। টিকার কারণে সংক্রমিতের মধ্যেও খুব কম মানুষই গুরুতর অসুস্থ হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়