নরসিংদীতে আটক নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

‘তোরে আমি কি জন্য একা যাইতে দিলাম’

পরের সংবাদ

মিট দ্যা রিপোর্টার্সে সালমান এফ রহমান : ভবিষ্যতে অনেক ব্যাংক একীভূত করতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের অনেক ব্যাংকের মূলধন কম। ভবিষ্যতে এগুলোকে একীভূত করে বড় ক্যাপিটালের ব্যাংক করতে হবে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংক সেক্টরে ঋণখেলাপি আছে। সমস্যা হলো- আমরা শর্টটার্ম ডিপোজিট ব্যবহার করে লংটার্ম লোন দিচ্ছি। এটা মিস ম্যাচ। এই মিস ম্যাচের কারণেও সমস্যা হচ্ছে না। কারণ আমাদের অর্থনীতি গ্রো করছে। তিনি বলেন, ঋণখেলাপি বেসরকারি ব্যাংকে কম। সরকারিতে আছে কিছু। এটা সব দেশেই আছে। প্রভিশনিং ও ক্যাপিটাল থাকলে সমস্যা না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে ক্যাপিটাল ছোট এমন অনেক ব্যাংক আছে। এ কারণে ভবিষ্যতে আমাদের এ ব্যাংকগুলোকে মার্জ করতে হবে। এগুলো মার্জ করে বড় ক্যাপিটালের ব্যাংক করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
পুঁজিবাজার বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ইক্যুইটি-বেইজ। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারও এ বিষয়ে আন্তরিক। আশা করা যায় বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হবে। তিনি বলেন, আরো একটি সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। এখানে যে লেনদেন হয় তার ৮০ শতাংশ আসে রিটেইল বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। কিন্তু উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের চিত্র পুরো উল্টো। এ সময় জ্বালানি তেলের দাম, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ঋণ খেলাপি, করোনা টিকা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ব্লæ-ইকোনমিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার চাই না উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে। এটির প্রয়োজনও আছে। তবে এর অপব্যবহার হোক এটা আমরা চাই না। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। তবে আমার মনে হয়, এটি কমে আসবে। তবে দাম কমে আগের পর্যায়ে না গেলেও এটি কমবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যে পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে তা কিন্তু নয়। শিপিংয়ের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শিপিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কন্টেইনার পরিবহনেও খরচ অনেক বেড়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হলে অতিথি হিসেবে ক্রেস্ট ও ফুল না দিয়ে একটি সার্টিফিকেট বাঁধাই করে দেয়ার আহ্বান জানান এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি প্রচলনটা শুরু করেছি। বিজিএমইএর নতুন নেতাদের বলেছি। আপনাদেরও বলছি। আমাকে অতিথি হিসেবে যে ফুল ও ক্রেস্ট দিচ্ছেন, সেটি না দিয়ে এই টাকাটা একটা চ্যারিটি ফান্ডে দিন।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমি আশা করব, ভবিষ্যতে সব প্রোগ্রামে আমার জন্য ক্রেস্ট ও ফুলের জন্য যে টাকা খরচ করবেন, এটা চ্যারিটিকে ডোনেট করবেন। আমাকে এটা জানিয়ে দেবেন। আর কম টাকায় একটা সার্টিফিকেট বাঁধাই করে দেবেন আমি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখব। এই ক্রেস্ট হাজারো ক্রেস্টের মতো বক্সে চলে যাবে, যেটা কেউ দেখবে না। সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে ন্যাশনাল হেলথ ইন্স্যুরেন্স আছে, ওটা দেশে বাস্তবায়ন করা যায় কিনা এ নিয়ে কাজ হচ্ছে। যদিও ব্যাপারটা কঠিন। কারণ আমরা তো সবাই ট্যাক্স দেই না। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় এটি বাস্তবায়নে কাজ করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়