নরসিংদীতে আটক নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

‘তোরে আমি কি জন্য একা যাইতে দিলাম’

পরের সংবাদ

ফের মনোনয়ন পেলেন ১৪ চেয়ারম্যান : দৌলতপুরে নৌকা ডোবাতে একাট্টা দলীয় বিদ্রোহীরা!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস আর সেলিম, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) থেকে : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দৌলতপুর উপজেলায় ১৪ ইউনিয়নের সবগুলোতেই বর্তমান চেয়ারম্যানদের ফের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাদের আবারো নৌকার টিকেট দেয়ায় তা মানতে নারাজ দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা। ফলে মনোনয়নবঞ্চিতরা দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। নৌকা ডোবাতে একাট্টা হয়েছেন আওয়ামী লীগের এই বিদ্রোহীরা। তারা বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের মাঠে বিদ্রোহীরা বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক ছাড়াই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। রয়েছে অন্যান্য দলও।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো বিদ্রোহী প্রার্থীদের ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হলেও তা তারা আমলেই নেননি। বিদ্রোহীদের দাপটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্রোহীরা নৌকার বিজয় ঠেকাতে একাট্টা হয়ে নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিদ্রোহীদের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান ১৪ চেয়ারম্যানের জয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রতিদিনই উপজেলার কোনো না কোনো স্থানে ক্ষমতাসীনদের দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা চলে আসছে।
দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটলেও পুরো পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ পর্যন্ত সহিংসতা কেন্দ্রিক ৪টি মামলা এবং ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। এগুলো তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জানান, দলের মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যানদের ওপর নানা কারণেই মানুষজন বিষিয়ে উঠেছেন। মানুষজন আর তাদের মেনে নিতে পারছেন না। সৎ, যোগ্য ও জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি খুঁজছেন সবাই। পরাজয়ের আশঙ্কায় ইতোমধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যানদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবদিক বিবেচনা করেই তাদের হাতে আবারো নৌকার টিকেট তুলে দিয়েছেন। খোদ দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কোনো লাভ হবে না। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোনো জনভিত্তি নেই দাবি করে নৌকার প্রার্থীরা বলেন, ভোটের দিন ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ১৪ জনসহ মোট ৯০ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ১৫১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ নির্বাচন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নৌকা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক। নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার মানেই আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া। তাই দলের প্রতি যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে সবাইকে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়