নরসিংদীতে আটক নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

‘তোরে আমি কি জন্য একা যাইতে দিলাম’

পরের সংবাদ

পুরস্কৃত তিন কৃষি প্রকৌশলী ; উদ্ভাবনে তরুণদের আরো সম্পৃক্ত করতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গত কয়েক বছর ধরেই দেশের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দেশের তরুণ প্রকৌশল ও বিজ্ঞানীরা। কৃষি খাতেও নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্র উদ্ভাবনে তরুণদের এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। কৃষি জমি কমছে আবার আবাদী জমির পরিমাণ ক্রমেই কমছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন উদ্ভাবন যেমন প্রয়োজন তেমনি বর্তমান চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কৃষি প্রকৌশলীদের উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে সম্প্রতি আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আয়োজিত ‘কৃষি প্রকৌশল উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা-২০২১’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য কৃষি প্রকৌশল বিজ্ঞানী ও দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকরা। বাংলাদেশের সমসাময়িক কৃষি প্রকৌশল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান অন্বেষণ ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে ত্বরান্বিত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দীর্ঘ নয় মাস যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে ২০টি দল থেকে ৩টিকে বিজয়ী করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আমিরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে তানজিলা আক্তার ও তার দল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হামিদুল ইসলাম।
আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে তরুণ কৃষি প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট গবেষকদের উৎসাহ দিতে এই আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৃষিকে আধুনিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
কৃষি বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে দেশীয় গবেষণা ও চর্চার মধ্য দিয়েই খাদ্যশস্য অপচয় রোধ করা সম্ভব। সামনের দিনে দেশের কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হলে তরুণদের উদ্ভাবনকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়