কাগজ প্রতিবেদক : নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বেশ দাপটে খেলছে টাইগ্রেসরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনা করেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গতকাল তারা যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়েছে ২৭০ রানে। টানা দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে টাইগ্রেসরা। হারারের সানরাইজ স্পোর্টস ক্লাবে গতকাল টস হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। এদিন মেয়েদের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশের শারমিন আক্তার সুপ্তা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ম্যাচ নয়। ফলে শারমিনের এই সেঞ্চুরি রেকর্ড বুকে থাকছে না। কিন্তু তার সেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মতো ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগ্রেসরা। যা আগের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ২১১, পাকিস্তানের বিপক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে শারমিন আক্তার ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস নেই বলে গতকালের ম্যাচটি ওয়ানডের স্বীকৃতি পায়নি। ৫০ ওভারের ম্যাচকে লিস্ট ‘এ’ হিসেবে গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি, ফলে এটিও পড়ছে সে পর্যায়েই। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন অপি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে টাইগারদের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।
মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে এত দিন সর্বোচ্চ ইনিংসটি যৌথভাবে ছিল সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদের দখলে। ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে সালমা করেছিলেন অপরাজিত ৭৫ রান, রুমানা অবশ্য ৭৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। গতকাল টারা নরিসের বলে চার মেরে ৯৯ রানে পৌঁছান শারমিন। এরপর পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ঘরে। সেঞ্চুরিতে যেতে ১১৮ বল খেলেছেন তিনি, এর আগে ফিফটি করেছিলেন ৫৫ বল খেলে। শেষ পর্যন্ত ইনিংসে শারমিন মেরেছেন ১১টি চার। ১৯৯৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধায় জন্ম নেয়া শারমিন আক্তার সুপ্তার ওয়ানডে অভিষেক ২০১১ সালে। সাভারের বিকেএসপিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ২৫ ওয়ানডে ম্যাচের ২৪ ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিল ৩৬৮ রান। সর্বোচ্চ ছিল ৭৪ রান। ডানহাতি এ ব্যাটারের ৩টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ২০১১ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায়। ১০ বছরে উত্থান-পতনের পথচলার পর টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে বাংলার বাঘিনীরা। এ বছর লাল বলের ক্রিকেটে হাসাবেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েদের ক্রিকেটে পূর্ণ সদস্য সব দেশকে টেস্ট মর্যাদা দেয়ার। যেহেতু অনেক আগে থেকেই আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট, তাই এ সিদ্ধান্তে সালমা-জাহানারারা পা রাখতে যাচ্ছেন টেস্ট আঙিনায়।