কাগজ প্রতিবেদক : চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর থেকে তিন দিন পিছিয়ে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।
গতকাল মঙ্গলবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর দেশের ৮৪০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও পরীক্ষার কারণে তারিখ পরিবর্তন করে ২৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তিনি জানান, ওই দিন এইচএসসি পরীক্ষা থাকার কারণে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখে পরিবর্তন আনার এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে প্রার্থীরা তিন দিন অতিরিক্ত প্রচারের সময় পাবেন। অন্য সব কিছু একই থাকছে। এ বিষয়ে গতকালই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। উল্লেখ্য, আগামী ২ ডিসেম্বর দেশে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণের দিন ২৩ ডিসেম্বর সকাল ও বিকালে পরীক্ষা রয়েছে। ওই দিন সকালে ভূগোল দ্বিতীয় পত্র এবং বিকালে আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের দিনও সকাল-বিকাল এ দুটি বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার দিনে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখের বিষয়টি নজরে এলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে কথা বলেন। দেড় বছর পরে পরীক্ষা

অনুষ্ঠানের বিষয়টির প্রসঙ্গ টেনে তিনি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করেন। যার প্রেক্ষিতে চতুর্থ ধাপের ইউপি ভোট ৩ দিন পিছিয়ে ২৬ ডিসেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছে ইসি।
এছাড়া ডিসেম্বরে আরেক ধাপের ইউপি নির্বাচনের পরিকল্পনা করলেও সেটার চিন্তা বাদ দিয়ে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে ভোটের শিডিউল দিতে গত সোমবার কমিশন সভা ডাকা হলেও তা ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই দিন এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় নির্বাচন কমিশন ২৩ ডিসেম্বরের ভোটের দিনটি পরিবর্তন করেছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমাদের হাতে যেহেতু সময় রয়েছে, তাতে ভোটের তারিখ পেছালে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি জানান, আগামী ২৭ নভেম্বর শেষ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ১০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছিল।