টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জে ৮৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা ও টিকে গ্রুপেরসহ প্রায় ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকায় চলে এ উচ্ছেদ অভিযান। তারাবো পৌরসভা এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন- বিআইডব্লিউটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপপরিচালক ইসমাইল হোসেন, সীমানা পিলার এবং ওয়াকওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহনেওয়াজ কবির প্রমুখ। অভিযানকালে তারাবো এলাকায় সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন টিকে গ্রুপের বাউন্ডারি দেয়ালসহ ৬টি টিনশেড স্থাপনা, তারাবো বাজার এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা ১টি পাকা দোতলা ভবনের আংশিক, ১০টি সেমিপাকা দোকান, ৬টি করাতকলের বর্ধিতাংশ, ১১টি কাঁচাপাকা স্থাপনাসহ ৩৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় নদীর কমপক্ষে দেড় একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদকৃত জমিতে শিগগিরই সীমানা পিলার স্থাপন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে কাঞ্চন পৌর এলাকা শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে শুরু করে দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকার ১৫টি ইটভাটাসহ প্রায় ৫০টি অবৈধভাবে দখল করা জমি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বিআইডব্লিউটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন, তিতাস গ্যাস রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও শাখার কারিগরি টেকনিশিয়ান আরিফ হোসেন, খৈয়াম বেপারিসহ আরো অনেকে।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর তীর ভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সেলক্ষ্যে নদীর দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে।
ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. নুর হোসেন বলেন, আজকে ১৫টি ইটভাটাসহ মোট ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়