টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

মোবাইল ফোন সেবা : মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে বিটিআরসিকে এফিডেভিট আকারে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারার অধীনে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়া কেন জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল। এর আগে গত ১২ জুন মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে এডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন। তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোনসহ মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইলফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি, যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে।
রিটকারীদের আইনজীবী এডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দুর্বল যে, অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যবহার করা যায় না। অথচ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো ধীরগতি। এ বিষয়ে বছরে সাড়ে ৫ লাখ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসিতে, কিন্তু গ্রাহকরা এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়