টাইগ্রেসদের উড়ন্ত সূচনা পাকিস্তানকে হারিয়ে

আগের সংবাদ

খুনোখুনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুলিশ : অবৈধ অস্ত্রের পাশাপশি বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার > চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান

পরের সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় একজনের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৫

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সদরে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে আব্দুল হক (৪৮) নামে একজন মারা গেছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৮ থেকে ১০টার মধ্যে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আগামী ২৮ নভেম্বর চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজি আফছার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছিল। রবিবার রাতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার সমর্থকদের ওপর।
হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে। ভাঙচুর চালায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে। হামলায় নৌকার সমর্থক শরীফ, সাইফুল, বাবু হালদার, মনির ও রমজান গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে নৌকার সমর্থক আব্দুল হক মারা যান। গুলিবিদ্ধসহ আহত হন বেশ কয়েকজন।
নিহত আব্দুল হকের স্ত্রী কল্পনা জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে ঘরের ভেতর অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সামসুদ্দিন হাওলাদার মামুন ও স্ত্রী জেসমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে গলা চেপে হত্যা করে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গুলিবিদ্ধ ইউসুফ ও সানি জানান, তারা বিস্ফোরণের শব্দে ও হামলার ভয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তাদের ওপর গুলি ছুড়ে মামুন ও জেসমিনের সন্ত্রাসীরা।
নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবন হামলা চালিয়ে তার সর্মথকদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। এ সময় তার সমর্থিত কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। অবস্থার অবনতি দেখে গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহাগ জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজন হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায়

রেফার করা হয়েছে। অন্য দুজনের চিকিৎসা চলছে।
সদর থানার ওসি রাজীব খাঁন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়